Nitish Kumar News -

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মঙ্গলবার তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করবেন, প্রায় এক সপ্তাহ পরে তিনি বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোটকে ছেড়ে দিয়ে এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের সমর্থনে ' গাঁটবন্ধন ' সরকার গঠন করেছেন। সকাল সাড়ে ১১টায় রাজভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে গান্ধী ময়দানের ভাষণ চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেন বলেন সরকার বিহারের মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২০ লাখ চাকরির সুযোগ করে দেবেন বলে ঘোষণা করেন।

বিহারের দুটি দলের জোটকে গত ১০ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো 'রাজনৈতিক ব্যবস্থা' হিসাবে বর্ণনা করে, প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে । পাটনায় তিনি বলেন নীতিশ কুমার এই ধরনের রাজনৈতিক পালাবদলের জন্য দায়ি।

প্রথমে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইডির হাতে গ্রেফতারি, তার রেশ কাটতে না কাটতেই বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারিতে বেকায়দায় তৃণমূল। পবন বর্মার পদত্যাগের সঙ্গে এই ঘটনাবলির কোনও যোগ রয়েছে কী, সে নিয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।

গতকালই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে ফের একবার আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে হাত মেলান নীতিশ কুমার। বিহারে নতুন মন্ত্রীসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। কিন্তু অন্য দলগুলির তরফে কতজন মন্ত্রী হতে পারেন? কারা কারাই বা পাবেন মন্ত্রীত্ব যাবতীয় বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল।

নীতিশ কুমারের বারবার পাল্টি খাওয়ার অভ্যাস বিহারের রাজনীতিতে তাঁকে পল্টুরামের আখ্যা দেয়। তাই ইতিহাস বলছে বিহারের আটবারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশের জোট থেকে বিচ্ছেদ এই প্রথম নয়।

বিহারের বাসিন্দা তিনি। একাধারে একটা সময় বিহারের জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের ভোট কুশলী হিসেবেই কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর আর সেই কারণেই বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিজেপির সম্পর্ক ত্যাগ করে একশো শতাংশ ঘুরে গিয়ে পুরনো জোটসঙ্গী লালু প্রসাদের দল আরজেডির হাত ধরলেন নীতিশ কুমার। যাকে বিরোধীরা বিজেপির হার হিসেবেই দেখছে।

বিহারে এনডিএ-র এই ধরসায়ী অবস্থা নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন সমালোচনায় সরব হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির নাম না নিয়েই কটাক্ষ করেছেন দেবাশু ভট্টাচার্য।