শনিবার গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলবে দাবদাহ। প্রায় সমস্ত জেলার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই থাকবে।
বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলার তাপমাত্রার পারদ থাকবে উর্ধ্বগামী। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি অতিক্রম করতে পারে। শুক্রবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিসের এক্স হ্যান্ডেল অনুযায়ী এদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ছিল দাবদহ। প্রায় সমস্ত জেলার তাপমাত্র ৩৫ ডিগ্রি সেসলিয়াসের ওপর ছিল। হাওয়া অফিসের ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩। দুটো তাপমাত্রাই ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
আলিপুর হাওয়া অফিসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী এদিন সর্বচ্চোতাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণপুর থেকে। সেখানে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলায় দবদাহের পর বিকেলের দিকে বৃষ্টি হলে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন মানুষ। তবে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। তখন আর স্বস্তি পাওয়া যাবে না। বৃষ্টি হলেও বাড়বে তাপমাত্রা।
উত্তরবঙ্গের জন্য আবারও ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। অন্যদিকে প্রবল গরম ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দরা। তাপমাত্রার পারদ চড়বে।
আগামী কয়েকদিনে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়বে। ফলে অস্বস্তি বজায় থাকবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমবে না।
প্রশাসন সূত্রের খবর রবিবার বিকেলে আচমকাই আকাশ কালো করে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি আর ময়নাগুড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, মালদা, উত্তর ও ২৪ পরগনায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।