সংক্রমণের মাত্রা এতটাই দ্রুততার সঙ্গে ছড়াচ্ছে যে কোথাও গিয়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক ছবির কাজ, পিছিয়ে যাচ্ছে ছবির মুক্তিও, বেশ কিছু ছবি পাইপলাইনে থাকলেও, বর্তমানে আবারও অনিশ্চিত সিনেদুনিয়ার ভাগ্য।
কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলই কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয়ন্ত ঝাঁ জানিয়েছেন আর ফ্যাক্টর তিনটি জিনিষের ওপর ভিত্তি করে- সংক্রমণের সম্ভাবনা, যোগাযোগের হার, প্রত্যাশিত সময়ের ব্যবধানে যেখানে সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে কোয়ারেন্টাই ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত বুধবার থেকে জ্বর, সর্দি-কাশি গলা ব্যথায় ভুগছেন জতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। তার আর দেরি না করেই বৃহস্পতিবার সকাল সকালই কোভিড পরীক্ষা করাতে চলে যান ইমন চক্রবর্তী ও সুরকার নীলাঞ্জন ঘোষ। কিন্তু কোভিড পরীক্ষার পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৪০ ঘন্টা। এখনও রিপোর্ট হাতে পাননি ইমন ও নীলাঞ্জন। এহেন সঙ্কট পরিস্থিতিতে রেগে আগুন হলেন গায়িকা।
সম্প্রতি বিশ্বস্ত সূত্রে একাধিকবার এই তথ্য সামনে এসেছে যে সরকারি স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোভিড ১৯-এর পরীক্ষার শংসাপত্র চাইতেই বিদেশ থেকে আসা বহু যাত্রী অর্থের বিনিময়ে ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়ার কথা বলেছেন। এমনকী, বহু মানুষ এমন শংসাপত্রও দিয়েছেন যেগুলো ভেরিফাই করে দেখা গিয়েছে তা ভুয়ো।
সোশ্যাল সাইটে করোনা আক্রান্তের খবর দিলেন শ্রীলেখা মিত্র। সঙ্গে ফেসবুক লাইভে কটাক্ষ গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনকে। অন্যদিকে কোভিড নেগেটিভ মীর।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে দৈনিক গড়ে ১৫ হাজারের কাছাকাছি করোনা সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর তাতেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাংলার মানুষেরা। এমনকী দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দেশের একাধিক রাজ্যকে জোরদার টক্কর দিচ্ছে বাংলা।
রায়গঞ্জে সংক্রমণ বাড়তেই ৪ টি মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন থেকে বাড়িয়ে ৯ টি কন্টেইনমেন্ট জোন করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। করোনার দাপট প্রতিরোধে এবার রায়গঞ্জের পথে নামল রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাড়িতে একজন কোভিড ১৯এ আক্রান্ত হলে সেখান থেকেই কোভিড ছড়িয়ে পড়ে। তাই বাড়িতে কেউ একজন আক্রান্ত হলে অন্যদের বাড়িতে থাকাটাই শ্রেয়। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো কখনই উচিৎ নয়। একজন কোভিড আক্রান্ত হলে পরিবারের সদস্যদের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন আমরা মনে হয় ভুলে গেছি বাড়েত কোভিড আক্রান্ত থাকলে পরিবারের সদস্যদের ঘুরে বেড়াতে নেই। এই ঘটনা তার বাড়িতে ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড সংক্রমণ এবার কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশেও, আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরাও। যার জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক থানার সামনে গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়েছে।