সংক্ষিপ্ত

কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলই কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই শনিবার বিকালে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট(Schedule of 5 state assembly votes) প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। তবে করোনা কাঁটার জেরে এবারে ভোট পর্ব কার্যত ভার্চুয়ালিই হতে চলেছে বলা চলে। এমনকী ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ প্রতি ক্ষেত্রেই জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ বিধি নিষেধ। কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইনে প্রচারের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলকে(political party) নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রোড শো, পদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা(Road shows bans) চেপেছে। এমনকী এই সময় পর্যন্ত  করা যাবে না বাইক ব়্যালিও। এমনকী বাড়ি বাড়ি প্রচারে ক্ষেত্রেও ৫ জনের বেশি কর্মীরা যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলই কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(BJP's all-India co-president Dilip Ghosh) খানিক কটাক্ষের সুরেই বলেন, ভার্চুয়াল জনসভা করলে কী করে হবে। আপনারা যতক্ষণ না রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে কী করে। আমাদের লোকেদের নিয়ে আমরা ভার্চুয়ালি মিটিং করে, সেটা তো সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের ব্যাপার। কিন্তু পাবলিককে বা সাধারণ মানুশকে আমন্ত্রণ কী করে করব। তারা যোগ দেবেন কী করে। তার জন্য তাহলে রাস্তা বার করতে হবে। পরিস্থিতি অনুকূল নয়, আসলে জোর করে ভোট করানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে কারও না কারও চাপে তারা এটা করছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায়(Trinamool leader Shuvendu Shekhar Roy) খানিক বিজেপি-র বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ওদের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে জলের মতো খরচ করেছে। তারা ভালো ভাবে জানে যে টিভি চ্যানেলে স্লট ভারা করে ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো যায়। সুতরাং এখন যারা অভিযোগ করছেন তারা রাতকে দিন বানাতে চাইছেন। নির্বাচন কমিশন সমস্ত পরিস্থিতি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অতএব সে সিদ্ধান্ত সবারই মেনে চলা উচিত।

আরও পড়ুন-বিধানসভা ভোটে করোনা কাঁটা, নির্বাচনী পর্বে কী কী বিধিনিষেধ জারি করল কমিশন

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, আগে যখন সরকারে ভাঁড়ার থেকে অর্থ নিয়ে, সরকারি পরিষেবা নিয়ে একশ্রেণির রাজনীতিবিদ জনসেবার নামে মিটিং মিছিল করছিলেন আমরা তখনও বলেছিলাম এই লক্ষ লক্ষ জনতার ভিড় থেকে সহজেই করোনা ছড়াবে। তার ফল এখন দেখা যাচ্ছে। তবে ১৫ জানুয়ারির পর একশো-দেড়শো লোক নিয়ে ছোট জনসভাগুলিতে অনুমতি মিললে ভালো হয়।এদিকে আসন্ন বিধানসবা নির্বাচনে ৫ রাজ্যেই বিপুল ভোটে জিতবে বিজেপি, নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পরেই এদিনই টুইট করে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দিতে দেখা যায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।