মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু কেন গ্রেফতার করা হয়েছে- তারই পাঁচটি কারণ জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী
টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে বিভিন্ন চাকরিমুখী কোর্স করিয়ে টাকা নেওয়া হত বলে খবর। শনিবার সকালে মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের অফিসে ইডি-র হানা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বেশ কতগুলি সিডি। সেগুলিতে কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলে খবর। চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের টাকার খেলাও যে বিদ্যমান ছিল, তাও ইডি-র ইঙ্গিতে বেশ স্পষ্ট।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আবারও বড় পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ঠিক ৮০ দিন পর গ্রেফতার করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেই মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছিল তদন্তকারীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রীতিমত যোগাযোগ ছিল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। রাতভর তাঁকে জেরা করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
হড়পা বানের জল যখন হুহু করে মরা মাল নদীতে ঢুকছে তখন খড়কুটোর মত ভেসে যাচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। চর আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করছে সকলে তখনই সম্পূ্ণ অন্য পথে হেঁটেছিলেন এক হলুদ শার্ট পরা তরুণ
স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে সহ নিজের সম্পত্তিরও হিসেব চেয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রে সেই রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বহাল তবিয়তে জনসমক্ষেই দেখা গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। এমনকী এদিন সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য।
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল সিবিআই। বাড়ির ভেতর থেকে হাত নেড়ে বোঝালেন যে সিবিআইয়ের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই রয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি জানিয়েছিল যে যদিও প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিককে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানিক ভট্টাচার্যকে ‘নিখোঁজ’ বলে দাবি করে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআইও যাতে তিনি রাজ্য ছেড়ে বিদেশে না চলে যান। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের দাবি কলকাতাতেই আছেন তিনি।