ত্রিপুরায় গৃহবন্দি 'পিকে'র দল, উদ্ধারে বাংলা থেকে তিন বিশ্বস্ত সৈনিক পাঠালেন মমতা

বাংলার পর 'খেলা' কি শুরু হয়ে গেল ত্রিপুরায়, বিজেপি সরকারের হাতে গৃহবন্দি প্রশান্ত কিশোরের দল। উদ্ধার করতে নিজের তিন বিশ্বস্ত সেনাপতিকে পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

amartya lahiri | Published : Jul 27, 2021 11:43 AM IST / Updated: Jul 27 2021, 06:15 PM IST

বাংলার পর রাজ্যে রাজ্যে 'খেলা হবে', ২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে এমনটাই বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই রাজ্যের তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম লক্ষ্য ত্রিপুরা। সোমবার সেই রাজ্য়ে  তৃণমূলের হয়ে রাজনৈতিক মূল্যায়নের যাওয়া প্রসান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যদের 'গৃহবন্দি' করার অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবারই, তাদের মুক্ত করতে ত্রিপুরায় নিজের তিন বিশ্বস্ত সেনাপতিকে পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তৃণমূল দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালেই আগরতলায় পৌঁছে যাবেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সর্বভারতীয় দল হিসাবে আত্মপ্রকাশের জন্য বাংলার পরের ধাপ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলের পাখির চোখ এখন এই নির্বাচনই। তার জন্য়ই আইপ্য়াক গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে ত্রিপুরা গিয়েছে। সোমবারই আইপ্যাকের সদস্যদের গৃহবন্দি করে রাখার জন্য সেই রাজ্যের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ত্রিপুরার আগরতলার এক হোটেলে গত একসপ্তাহ ধরে ঘাঁটি গেড়েছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের একটি দল। সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের ২৩ জন সদস্যকেই হোটেল কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। কী কারণে তাদের হোটেলের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, তাও জানানো হয়নি। স্থানীয় পুলিশের দাবি, আইপ্যাকের দলকে গৃহবন্দি করা হয়নি, রুটিন চেকআপের অংশ হিসাবে বাইরে থেকে আগতদের যাচাইকরণ চলছে।

আরও পড়ুন - কত শিশু অনাথ হয়েছে লকডাউনে - বাংলার তথ্য বিশ্বাসই করল না শীর্ষ আদালত, পাল্টা তদন্তের হুশিয়ারি

আরও পড়ুন - দিল্লিতে কি 'ডেলি প্যাসেঞ্জারি' করবেন মমতা, কেন হঠাৎ তাঁকে সংসদীয় দলের নেতা করা হল

আরও পড়ুন - পেগাসাস তদন্ত থেকে করোনা ভ্যাকসিন - কী কথা হল মোদী-মমতার ঐতিহাসিক বৈঠকে

তৃণমূল কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, তাদের দল দেশজুড়ে তার ভিত্তি প্রসারিত করে ফেলবে বলে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে আগরতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে জড়ো হওয়া তৃণমূল কর্মীদের উপরেও পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল, অনেককে কোভিড -১৯ মহামারির দোহাই দিয়ে গ্রেফতার করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 

Share this article
click me!