সাগ্নিক নিজের যে আয়ের হিসাব পুলিশকে দেখিয়েছে তার তুলনায় আয় অনেক বেশি। এমনটাই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এবার সাগ্নিকের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আয় করতে গিয়ে কোনও বেআইনি কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে নিউ টাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক। এবং সেই কল সেন্টারের আদৌ কোনও বৈধ কাগজ আছে কিনা কিংবা কী ধরনেরই বা কাজ হতো সেখানে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র থেকে আরও জানা গেছে সেই কল সেন্টারের সমস্ত কর্মীকে বেতন হিসেবে নগদ টাকা দিতেন সাগ্নিক। এবং সেই সূত্রে কল সেন্টারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানা গেছে। এত কম টাকায় কীভাবে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সাগ্নিক। তা নিয়ে শুরু হয়ে জল্পনা। এমনকী পল্লবীরও আয়ের হিসাব খতিয়ে দেখা হবে জানা গিয়েছে। পল্লবীর পরিবারের কাছ থেকেও আয় সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকে আগামী ২৬ শে মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। খুন, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হয়েছে সাগ্নিকের নামা। তারপর থেকেই লাগাতার জেরা করেই চলেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগ্নিকের মাসিক আয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু এই সামান্য় মাইনের চাকরিতেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সে। লাখ লাখ টাকার উপহার থেকে অডি গাড়ি কী ছিল না সাগ্নিকের। কিন্তু এত টাকা কে দিত সাগ্নিককে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমন কী কাজ করতেন যে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সাগ্নিক। সাগ্নির নিজের যে আয়ের হিসাব পুলিশকে দেখিয়েছে তার তুলনায় আয় অনেক বেশি। এমনটাই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এবার সাগ্নিকের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আয় করতে গিয়ে কোনও বেআইনি কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে নিউ টাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক। এবং সেই কল সেন্টারের আদৌ কোনও বৈধ কাগজ আছে কিনা কিংবা কী ধরনেরই বা কাজ হতো সেখানে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র থেকে আরও জানা গেছে সেই কল সেন্টারের সমস্ত কর্মীকে বেতন হিসেবে নগদ টাকা দিতেন সাগ্নিক। এবং সেই সূত্রে কল সেন্টারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানা গেছে। এত কম টাকায় কীভাবে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সাগ্নিক। তা নিয়ে শুরু হয়ে জল্পনা। এমনকী পল্লবীরও আয়ের হিসাব খতিয়ে দেখা হবে জানা গিয়েছে। পল্লবীর পরিবারের কাছ থেকেও আয় সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। পল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে সন্দেহের তির তার লিভ-ইন পার্টনারের দিকে। খুন থেকে প্রতারণা সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি চরিত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে পল্লবীর পরিবার। রবিবার সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে গড়ফার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পল্লবীর নিথর দেহ। মৃত্যুর পর কোনও সুইসাইড নোট এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। সাগ্নিকের বিলাসিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পল্লবীর পরিবার সহ কাছের মানুষরা। পল্লবীর টাকা-পয়সা নিয়েই যে এত কিছু তা পুলিশকে জানানো হয়েছে। অভিনেত্রী পল্লবীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল তার লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর। সূত্রের খবর, জয়েন্ট ফিক্সড অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে দুজনের নামে। ইতিমধ্যেই একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও পাওয়া গিয়েছে পল্লবীর নামে যার নমিনি প্রেমিক সাগ্নিক পল্লবীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি সাগ্নিক তার এবং তার বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। যেখানে ৫৭ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন পল্লবী চক্রবর্তী। ফ্ল্যাটের ইএমআইও দিতেন পল্লবী। এমনকী দুজনে মিলে গাড়িও কিনেছিলেন তারা, সেখানেও অনেক টাকা দিয়েছিলেন পল্লবী। এবার আর্থিক পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-লাস্যে ভরা মাখনের মতো শরীরে উপচে পড়ছে যৌনতা, কিলার লুকে আগুন জ্বালালেন নুসরত
আরও পড়ুন-ঠান্ডা মাথায় ছক কষেই কি পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক? গভীর রাতের জেরায় উঠে এল নয়া তথ্য