"ম্যয় উড়না চাহতা, দওড়না চাহতা, গিড়না ভি চাহতা হু, পর রুকনা নহি চাহতা।" বানি থাপারের মনের এই শব্দগুলো অতি সাধারণ হলেও দাগ কেটেছিল সকলের মনে। দাগ কেটেছিল সে সকল মানুষের মনে, যারা ৯-৫টার ডিউটি করে একটি কিউবিকলের মধ্যে বসে। শনিবার কেবল নামমাত্র ছটি। কেটে যায় সেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে। আর রবিবারটা আর বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। তাহলে জীবনের অর্ধেক সময়টা এভাবে কিউবিকলের পিছনেই দিতে হবে, টার্গেট রিচ করে যেতে হবে প্রমোশনের জন্য হাইকের জন্য। এটাই চরন সত্য। উপার্জন তো করতেই হবে। তবে এই আর পাঁচজনের মত একেবারেই ভাবত না বানি ওরফে কবীর। সারা বিশ্ব ঘোরার স্বপ্ন দুচোখে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল বন্ধুদের ছায়া।
আরও পড়ুনঃ'রণবীরের প্রথম কেনা কন্ডোম কী', প্রশ্ন শুনেই লজ্জায় লাল প্রিয়াঙ্কা
অথচ কতটা আলাদা ছিল নয়না তলওয়ার। নিজের খুশি নয়, অন্যের স্বপ্নকে পূর্ণতা দিতে আর বলা হয়নি, কতটা ভালবাসে বানিকে। অন্যদিকে অদিতিরও একই অবস্থা। অভির জন্য প্রাণটুকুও দিতে রাজি। কিন্তু কখন যে কলেজ প্রেম ভুলে তরণের কাছে চলবে গেল। অভি কখনই বোঝেনি অদিতি ওকে কতটা ভালবাসত। অদিতি আশাও করেনি। তরণের সঙ্গে সুখের সংসার শুরু করল অদিতি। নয়নার অবশ্য ভাগ্য ভাল ছিস। কবীর ফিরে এসেছিল ওর জন্য। নতুন বছর ফ্রেশ স্টার্টে শুরু হল ওদের জীবন। দেখতে দেখতে সাত বছর কেটে গেল 'ইয়ে জওয়ানি হ্যয় দিওয়ানি' মুক্তির।
আরও পড়ুনঃবাড়িতেই সিগারেট তৈরির রেসিপি শেখালেন সুনীল, সঙ্গে রয়েছে কড়া বার্তাও
দর্শকের ভীষণ প্রিয় এবং কাছের এই ছবিটি উপহার দিয়েছিলেন পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। রণবীর কাপুর, দীপিকা পাডুকোন, কালকি কেকলা, আদিত্য রায় কাপুরের বন্ধুত্বের মিশেল পেয়েছিল দর্শকমহল। আজ সাত বছরে পা দিতেই দীপিকা তাঁর এবং রণবীরের প্রথম লুক টেস্টের ছবি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভক্তদের উচ্ছ্বাস তুঙ্গে। এমন বিরল ছবি আগে প্রকাশ্যে আসেনি। একটিতে ঝকমকে ইন্ডিয়ান পোশাকের অবতারে তাঁরা। এবং অন্যটিতে পুরনো নয়না ও বানির লুক টেস্ট। ভক্তদের কাছে আজও অল টাইম ফেভারিট এই ছবিটি। আগামী বহুবছর এপিক ছবি হিসেবেই দেখএ আসবে তারা।