১৮ জুন মুক্তি পাচ্ছে শেরনি। বিদ্যা বানাল অভিনীত এই ছবি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে। থ্রিলার জ্যঁরের এই ছবির পরিচালক অমিত মসুরকর। বিদ্যার কেরিয়ারে একাধিক ছবি রয়েছে, যা বিদ্যার উপস্থিতিতেই এক ভিন্ন সেড ও সেপ পায়। শেরনি তার থেকে ব্যতিক্রমি। কারণ বিদ্যার কথায় এখানে ওয়ান ম্যান আর্মি হিসেবে বিদ্যা নয়, দর্শককে আকর্ষণ করবে প্রকৃতি। তাই নিয়ে বুধবার গোটা টিম শেয়ার করল নানা অভিজ্ঞতার কথা।
আরও পড়ুন- ঘরে বাইরে-তে শুরু, বেলাশুরু-তে শেষ, সৌমিত্রর সঙ্গেই শেষ বিমলার রিল-রিয়েল জীবনের অধ্যায়
আরও পড়ুন- থমকে গেল মঞ্চে দাপানো সত্যজিতের 'বিমলা', শেষ থেকে শুরু'র আগেই তারাদের দেশে স্বাতীলেখা
আরও পড়ুন- উল্লেখ করলেন 'ঘরে বাইরে'র কথা, স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রয়াণে গভীর শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী
জঙ্গলে এভাবে প্রথম শ্যুটিং, অভিজ্ঞতা কেমন বিদ্যার, 'জঙ্গল সাফারিতে তো অনেক গেছি, ভয় তো থাকতোই। বিছে আসে যদি, সাপ চলে আসে, আমি শ্যুটের মাঝে মাঝেই এদিক ওদিক দেখতাম। একটা সময় সেই ভয়টা কেটে গেল। এরপরই বুঝলাম, এটা প্রকৃতি, এখানে ভয়ের কোনও কারণ নেই। উন্নয়ন ও প্রকৃতির মাঝে যে দন্দ, তা এবার মানিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে। এটাই বুঝলাম এই কয়েকদিনে, কারণ প্রকৃতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনে এক ব্যপক প্রভাব ফেলে যায়। আমি কোনও ছবিতে সেভাবে কোনও মেসেজ সেভাবে দিতে চাইনি এর আগে। আমার কাছে বিনোদনই ছিল ছবির ভাষা। তবে এই ছবিতে আমার মনে হয় আমি এক অন্যদিক তুলে ধরতে পেরেছি। '
ছবির মধ্যে অনেকটাই অংশ কেবল জঙ্গলে শ্যুট। আমাজন প্রাইমের তরফ থেকে বিজয় পুরি জানান, এটা কোনও মিথ্যে বলা নয়, বা দর্শকদের ঠকানো নয়, যা গল্পের চাহিদা ছিল, সেই অনুযায়ী আসল জঙ্গল, আসল কর্মীর মাঝেই চলেছে শ্যুট। ছবিটি শ্যুট করা হয় মধ্যপ্রদেশে। যার ফলে মধ্যপ্রদেশের ট্যুরিজম বেশ আশাবাদী। ছবির মধ্যে দিয়ে প্রকৃতিকে বাঁচানোর এই বার্তা ঠিক কতটা কার্যকর হবে হবে মনে হয়! উত্তরে মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের পক্ষ থেকে মিস্টার শুকলা জানান, 'একটা ছবি কেবল কমার্শিয়ালি সাফল্য লাভ করে এমনটা নয়। তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অনেক বার্তাই পৌঁছে যায় দর্শকদের কাছে। এটা আমি বিশ্বাস করি, তাই নিঃসন্দেহে এই দিক দুল অনেকাংশে কাজ করে।'
এই ছবি কি জঙ্গলের পোচার, পশুদের সমস্যার দিকগুলো তুলে ধরে, প্রশ্নের সাফ উত্তরে বিদ্যা জানিয়ে দেন, 'তিনি সিনেমা সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করতে চান না, কারণ গল্পের সাসপেন্স নষ্ট হয়ে যাবে। তবে এটুকু তিনি জানিয়ে দেন, জঙ্গল প্রকৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে নিঃসন্দেহে ছুঁয়ে গিয়েছে এই ছবি।' তবে এটা ঠিক যে করোনার সময় শ্যুট হয়েছে। তার জন্য় একটু বেশি সতর্কতা বজায় রাখতে হয়েছে। প্রতিটা পদে পদে সঠিক প্ল্যানিং-এর প্রয়োজন ছিল। প্রতিটা মানুষই পিপিই কিট পড়া থেকে শুরু করে মাস্ক পড়া, টেস্ট করানো নিয়ে অবগত ছিলেন। এমন কি যে পুরোহিত ছিলেন, তিনিও সবটা পালন করেছিলেন। এখন কেবল দেখার এই ছবি আবারও নয়া মার্ক তৈরি করতে পারে কি না। বিদ্যা বলান মানেই বক্স অফিসে লক্ষ্মী। শেরনিও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আশাবাদী সকলেই।