এক বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে টিকা প্রথম দু'টি ডোজের তুলনায় বুস্টার ডোজ মানবদেহে পাঁচগুণ বেশি ভাইরাসের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে সক্ষম ৷ তাদের তৈরি কোভিড টিকা SARS-CoV-2 এর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ কার্যকর ক্ষমতা প্রদানে সক্ষম।
নতুন করে গোটা বিশ্বের কাছেই ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা (Corona)। আর দেশেও হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave of Corona) আছড়ে পড়ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আশার কথা শোনাল করোনার টিকা (Corona Vaccine) কোভ্যাক্সিন (Covaxin) প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। বুস্টার ডোজের (Booster Dose) ট্রায়ালের পর শনিবার হায়দরাবাদের বায়োটেকনলোজি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ (Covaxin booster shot) দেওয়া হয়। এটি ডোজ করোনার হাত থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা পারে। SARS-CoV-2 ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। যা দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা দেয়।
এক বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে টিকা প্রথম দু'টি ডোজের তুলনায় বুস্টার ডোজ মানবদেহে পাঁচগুণ বেশি ভাইরাসের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে সক্ষম ৷ তাদের তৈরি কোভিড টিকা SARS-CoV-2 এর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ কার্যকর ক্ষমতা প্রদানে সক্ষম বলেও দাবি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থাটি ৷
আরও পড়ুন- মৃদু ওমিক্রন সংক্রমণ 'বিবর্তনীয় ভুল', রীতিমত সতর্ক করলেন কেমব্রিজের বিশেষজ্ঞ
করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে ওমিক্রনই রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া। ডিসেম্বররেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি বলেছিলেন, "ওমিক্রন উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ৬০ ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।" একে বলা হচ্ছে 'প্রিকশন ডোজ' ৷
তবে করোনা টিকার দুটি ডোজ হয়ে যাওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। আর তার জেরেই বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ এক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ কতটা সফলভাবে কাজ করবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে। আদতে সেটি সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও করেছেন অনেকেই। এর প্রেক্ষিতে ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছে, "কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা দিতে পারে বুস্টার ডোজ। ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ প্রাপকদের মধ্যে অন্য স্ট্রেনের বিরুদ্ধেও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অ্যান্টিবডি।"
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. কৃষ্ণ এলা বলেন, "ট্রায়ালের ফলাফলে স্পষ্ট, কোভ্যাক্সিনকে একটি বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কোভিডের বিরুদ্ধে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনের দু’টি প্রাথমিক এবং বুস্টার ডোজ তৈরির মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এটি একটি সর্বজনীন টিকা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।"