গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। আজ যা মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গোট বিশ্বে। আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছে ১০ লক্ষের গণ্ডি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছএ ৪৫ হাজার। চিনের থেকেই যেহেতু এই সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে তারজন্য শি জিনপিং-এর দেশকে অনেকেই ভিলেন মনে করছে। আর চিনা নাগরকিদের সঙ্গে চেহারার মিল থাকায় এদেশে একাধিকবার হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের।
রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তের চিত্রটাই একরকম। সম্প্রতি দিল্লিতে উত্তর-পূর্বের এক তরুণীকে হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। মাইসুরুতে একটি শপিং মলে এক নাগা ছাত্রকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আধার কার্ড দেখিয়ে তাঁকে ভারতীয়ত্ব প্রমান করতে হয়েছিল। এছাড়া অন্য এক জায়গায় এক ছাত্রের বিরুদ্ধে পানের পিক ফেলা হয়। এমনকি চিনাদের সঙ্গে চেহারার মিল থাকার কারণে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে গায়ক ও অভিনেতা চ্যাংকেও। উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের 'চিনা' বলেও কটাক্ষ করার অভিযোগ আসছে সারা দেশ থেকে। এবার তাই নিয়েই সরব হলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
করোনা যুদ্ধে এবার মাত্র ৯ মিনিট সময় চাইলেন মোদী, দেশবাসীকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বেলা বোস বাড়িতেই থেকো, সচেতনতা বাড়াতে এবার অঞ্জন দত্তের ভূমিকায় কলকাতা পুলিশ, ভাইরাল হল ভিডিও
করোনা যুদ্ধ জিততে দেশবাসীকে উপহার ভারত সরকারের, অ্যাপ দিয়েই এবার খোঁজ মিলবে আক্রান্তের
সুনীল বলেন, 'একবার ভেবে দেখুন, এই ভাইরাসের উৎপত্তি যদি এমন এলাকা থেকে হত, যেখানকার বাসিন্দা আপনার মতো দেখতে, তবে? আপনি যদি ওই সময় অরুণাচল প্রদেশ, অসম বা সিকিমে চাকরি করতেন, কী করতেন তখন? আপনাকে যদি নিশানা করা হত?' ভারতীয় ফুটবল অধিনায়কের কথায়, 'যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা সত্যিই অজ্ঞ, তারা এটাও জানেন জান ভারতে মোঙ্গলয়েড শ্রেণীর মানুষেরা থাকেন।'
এর আগেও উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের হেনস্থার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাম মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন আরেক পাহাড়ি ফুটবলার সঞ্জু প্রধান। এদিকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে থেকে আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে ভারতীয় ফুটবলার। এই প্রসঙ্গে সুনীল বলেন, 'দলের খেলোয়াড়দের জন্য আমি গর্বিত।' পাশাপাশি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচারে নেমেছেন ভারত অধিনায়ক। ফিফার কিক আউট করোনা ক্যাম্পেনের অন্যতম মুখ তিনি।