করোনার তৃতীয় ওয়েভে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। দুই থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই তথ্যকে সামনে রেখে এবার এই বয়েসীদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করল কেন্দ্র। পাটনার এইমসের পর দিল্লির এইমসে সোমবার থেকে শুরু হল শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল।
এখানে টিকা দেওয়া হবে দুই থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের। মে মাসের ১৮ তারিখ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ২ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়। সেই অনুমতি সাপেক্ষে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হল ২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের। দিল্লি এইমসে শুরু হয়েছে ট্রায়াল।
এর আগে, পাটনার এইমস হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের শিশুদের জন্য ট্রায়াল চালু করা হয়েছে। পাটনার এইমসের সুপার সি এম সিং জানান, ৭০ থেকে ৮০ জন কিশোরকে ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ট্রায়ালের আগে আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তারা ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে। এমনকী যদি তাঁরা আগে করোনা আক্রান্ত হয়, তবু এই ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে না।
তবে পাটনার এইমসে দুই থেকে ১৮ বছর নয়, সেখানে বেছে নেওয়া হয় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল জানান, ডিসিজিআইয়ের তরফে শিশুদের ট্রায়ালের জন্য কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেই ভিত্তিতেই ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
শিশুদের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। এক বিশেষ বৈঠকের পর সেই আবেদনে অনুমতি মেলে। এদিকে, করোনা ভাইরাসের নতুন টার্গেট শিশুরা। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায় করোনা ভাইরাসের জিন পরিবর্তিত হয়েছে। আর নতুন এই স্ট্রেইনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও।
ভারতে এখনও পর্যন্ত তিন করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। সেগুলি হল কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড আর স্পুটনিক ভি। তিনটি টিকাই শিশুদের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। গত ১৩ মে কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে।