ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়বে- এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা। আর তৃতীয় তরঙ্গও দ্বিতীয় তরঙ্গের মত ভয়াবহ আকার নিতে পারে। তবে টিকা দেওয়া হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিশুদের। তাই দ্রুততার সঙ্গে শিশুদের টিকার ট্রায়াল রান শুরু করা হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার থেকে দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স বা AIIMS হাসপাতালে শিশুদের ওপর দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। দিন কয়েক আগেই পাটনার AIIMS হাসপাতালে শিশুদের ওপর টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছিল।
ভারতে এখনও পর্যন্ত তিন করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। সেগুলি হল কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড আর স্পুটনিক ভি। তিনটি টিকাই শিশুদের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল গতমাসেই জানিয়েছেন দুই থেকে ১৮ বছর বসয়ীদের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল পরিচালিত হবে দেশে। গত ১৩ মে কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ফাইজারের -বায়োএমটেকের ভ্যাকসিনকে শিশুদের জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ফাইটার ভারতেই টিকা সরবরাহ করতে আগ্রহী। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি আবেদন জানিয়েছে। তবে ফাইজারের টিকা ১২ বছরের উর্ধ্বরাই ব্যবহার করতে পারবে। অন্যদিকে চিনও ৩-১৭ বছর বয়সের শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ দেশই শিশুদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে ততটা আগ্রহী নয়।
গত মার্চ মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছে। প্রথম তরঙ্গ থেকে দ্বিতীয় তরঙ্গ অনেকটাই বেশি ভয়াবহ ছিল। আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি পাল্লাদিয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা। দ্বিতীয় তরঙ্গের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছিলেন। সংক্রমণ রুখতে টিকা কর্মসূচির ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও উদ্বেগ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।