করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে Black Fungus (কালে ছত্রাক), White Fugus ( সাদা ছত্রাক)এর পর এবার নতুন বিপদ Green Fungus (সবুজ ছত্রাক)এ। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দার শরীরে প্রথম এজাতীয় ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতী। চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উড়েয়ে মুম্বইয় আনা হয়েছে তাঁকে। আক্রান্ত ব্যক্তি কালো ছত্রাকে সংক্রমিত হয়েছেন বলে প্রথম অনুমান করেছিলেন চিকিৎসাকরা। কিন্তু পরীক্ষা বিরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সবুজ ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া যায়।
ভোজন রসিকদের জন্য GOOD NEWS, মরশুমের প্রথম ইলিশ এল দিঘায়
সবুজ ছত্রাক বা Green Fungus-
এজাতীয় ছত্রাক চিকিৎসার পরিভাষায় একে এস্পারগিলোসিস বলে। এটি সাধারণত বর্জ্য থেকে তৈরি হয়। বাড়ির বাইরে বা অভ্যন্তরে এজাতীয় ছত্রাক পাওযা যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ জাতীয় ছত্রাকে আক্রান্ত হলে আক্রান্তের প্রবল জ্বর হবে আর নাক দিয়ে রক্ত পড়বে। দ্রুততার সঙ্গে ওজন কমবে আর আক্রান্ত ব্যক্তি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সবুজ ছত্রাকগুলি থেকে অন্যান্য ছত্রাক থেকে কতটা আদালা তা জানার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জামিনের তিন দিন পরেও তিহারজেলে বন্দি, দ্বিতীয়বার দেবাঙ্গনা,আসিফ, নাতাশাদের মুক্তির নির্দেশ ... Re
সবুজ ছত্রাক কোথা থেকে আসে?
এজাতীয় ছক্রাক বাড়ির ভিরত ও বাইরে উভয় জায়গাই বিদ্যমান। অসুস্থ না হয়েও এজাতীয় ছত্রাকে অনেকেই সংক্রমিত হতে পারে।
কী করে ছড়ায় সবুজ ছত্রাক?
স্বাস্থ্যকর ব্যক্তি বা যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তাঁরা এজাতীয় ছত্রাকের মোকাবিলা করতে পারবেন। কিন্তু দুর্বল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাঁদের কম তাঁদের এজাতীয় ছত্রাক সহজেই কাবু করবে। নিঃশ্বাসের সঙ্গেই এটি দেহে প্রবেশ করে। ফুসফুস বা সাইনাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। শরীরের অন্যান্য অংশগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা না হলে নিউমোনিয়া হতে পারে।
'ডেল্টা প্লাস'এর বিপদ, এখনই সাবধান না হলে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন বলল বিশেষজ্ঞরা ...
সবুজ ছত্রাক কি সংক্রামক?
সুবজ ছত্রাক সংক্রামক নয়। এটি একজনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে যেতে পারে না।
সবুজ ছত্রাকের কারণ কী?
ক্ষয়িষ্ণু উদ্বিদ, সঞ্চিত খাদ্য শস্য, কম্পোটস পাইলস, মুরিজুয়ানা পাতা থেকে এটি তৈরি হতে পারে।
সবুজ ছত্রাকের লক্ষণগুলি কী কী?
জ্বর, নিশ্বাসে সমস্যা, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, মাথাব্যাথা. দেখতে সমস্যা হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, নাকের সমস্যা, প্রস্রাব কম হওয়া, বুকে ব্যাথা, প্রস্রাবে রক্ত পড়া।
সবুজ ছত্রাকে কাবু হবেন কারা কারা?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের এম্পারগিলোসিস বিভিন্ন ধরনের লোককে কাবু করতে পারে। যাঁদের ফুসফুসের রোগ বা যক্ষা রয়েছে তাঁরা সজুব ছত্রাকে বেশি সংক্রমিত হন। ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে এজাতীয় রোগ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
সবুজ ছত্রাক প্রতিরোধ করার উপায়-
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মুখের যত্ন নেওয়া, পরীক্ষার পরিচ্ছন্ন থাকা। ধুলোবালি আর দুষিত জল এড়িয়ে চলা। যদি এমন অঞ্চলে যেতে হয় তাহলে এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা, প্রয়োজনীয় পোষাক পরা অত্যন্ত জরুরি। সেই দুষিত স্থান থেকে ফেরার পরেই হাত, পা আর মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিৎ।