সংক্ষিপ্ত
- দেবাঙ্গনা, নাতাশা আর আসিফ বন্দি তিহার জেলে
- মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট
- তারপরেই মুক্তি অধরা থেকে যায়
- আজ দিল্লির আদালত মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে
বৃহস্পতিপবার দিল্লির একটি আদালত দিল্লির হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নাতাশা নারওয়াল দেবাঙ্গনা কালিতা আর আসিফ ইকবার তানহাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। সেই সময় দিল্লিতে হিংসার ঘটনা ঘটে। তাতেই এঁদের যোগছিল এই অভিযোগে গত বছর মে মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন জনকে। তিনজনের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু উপযুস্ত প্রমাণ না মেলায় মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু তার পরেই দেবাঙ্গনা, নাতাশ আর আসিফকে তিহারজেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেই কারণেই মঙ্গলবারই দিল্লির একটি আদালত অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।
জ্বর-সর্দির ভাইরাসে জব্দ কোভিড ১৯, বলছে নতুন গবেষণা ..
'ডেল্টা প্লাস'এর বিপদ, এখনই সাবধান না হলে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন বলল বিশেষজ্ঞরা ...
বৃহস্পতিবার কারকারদোমা আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হয়। অতিরিক্ত দায়রা জজ রবীন্দ্র বেদি বলেছেন উচ্চ আদালত ইতিমধ্যেই জামিনের আবেদন পাশ করেছে। মুক্তির পরওয়ানা তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেনবেলা ১১টায় আদেশটি পাশ করেছেন। একটি হাতে লেখা একটি অর্ডার। দিল্লি পুলিশ অবশ্য গতকালই তিনজনের ঠিকানা আর জামিনতা বাছাই আর যাচাইয়ের জন্য আরও দিন দিন সময় চেয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়েগিয়েছিল গতকাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
ভরসা সেই রেড ভলান্টিয়ার্স, কোভিডে মৃত তৃণমূল নেতার শ্বশুরের শেষকৃত্য সম্পন্ন করল তারা ...
যদিও এদিন আদালতের নির্দেশের আগেই দেবাঙ্গনা, নাতাশা আর আসিফ আবারও দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, দিল্লি পুলিশ অযোথা তাঁরা আটকে রেখেছে। কিন্তু জামিন মঞ্জুর হোয়ার ২৪ ঘণ্টার পরে এভাবে আটকে রাখা যায় না। একই সঙ্গে তাঁরা অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানিয়েছিলেন। সেই শুনানিতেই আদালত দিল্লি পুলিশের ওপর অসন্তোষ প্রকাশকরেছিল। একই সঙ্গে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট দেবাঙ্গনা কালিতা, নাতাশা নারওয়াল আর আসিফ ইকবাল তানাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি স্পষ্ট করে দিয়েছিল 'প্রতিবাদের অধিকার ' আর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মধ্যে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে।