ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ভারতের। বিশেষজ্ঞদের কথায় প্রায় গোটা দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসেরা দ্বিতীয় তরঙ্গ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশে মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগে আক্রান্ত গয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৮৫ জনের। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলির ক্রমতালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষেরও বেশি। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার।
এক নজরে দেশের করোনা চিত্র
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১,২৬,৭৮৯
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৬৮৫
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৫৯,২৫৮
দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১.২৯,২৮,৫৭৪
মোট সুস্থ ১,১৮,৫১৩৯৩
অ্যাক্টিভ কেস ৯,১০,৩১৯
মোট মৃত্যু ১,৬৬,৮৬২
এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ৯,০১,৯৮,৬৭৩
করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় কেরল আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। তবে দিল্লি, পঞ্জব, ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সবার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার দাবি তুলেছে। তবে গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী তা খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন সরবরাহ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই টিকা প্রদান করা হবে। এখনই সকলকে টিকা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবও জানিয়েছেন করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করেই টিকাকর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ও প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানান হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৯ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে টিকার অভাব নেই বলেো জানান হয়েছে।
সন্তানদের ওপর চাপ দেবেন না, পরীক্ষা পে চর্চা-এ অভিভাবকদের কাছে আবেদন মোদীর ...
আলাপ করুন দুই নার্সের সঙ্গে, যাঁরা করোনাভাইরাসের টিকা দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে
অন্যদিকে এদিনই টিকার দ্বিতীয় ডোজটি নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দিল্লির এমস হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিয়েছেন। তবে ভারতের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এদেশের নাগরিকদের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগামী ১১ এপ্রিল ছেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।