শুক্রবারই বিশ্বকাপ ২০১৯-এ বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পরই অবসর নিতে পারেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। আর তারপর দেশে ফিরেই হবেন মন্ত্রী। ১০-১৫ বছরের মধ্যে হবেন প্রধানমন্ত্রীও। এমনই জল্পনা চলছে বাংলাদেশে।
দীর্ঘদিন ধরেই মাশরাফির অবসরের কথা উঠছে। চোটে-আঘাতে জর্দজরিত হয়ে ক্রিকেটিয় দক্ষতা এখন আর আগের মতো নেই। বয়সও বাধ সাধছে। বিশ্বকাপের পরই বাংলাদেশ যাবে শ্রীলঙ্কা সফরে। ঘরের মাঠে অবসর নিতে চাইলে তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে বেশ কয়েক মাস। তার থেকে বিশ্বকাপে লর্ডস-এর মতো বড় মঞ্চকেই অবসরের জন্য় বেছে নেবেন তাঁদের প্রিয় মাশরাফি, এমনটাই বলছেন বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তরা।
আরও পড়ুন - ভারত বনাম বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সবচেয়ে স্মরণীয় ও বিতর্কিত পাঁচ মুহূর্ত
আরও পড়ুন - বলে সাফল্য পেলেন না, নেতা হিসেবে হল রেকর্ড! কী বললেন বিজয়ী সেনাপতি
আরও পড়ুন - মাশরাফির সমালোচনা, দূরগ্রামে বদলি হলেন ডাক্তার
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশে ফিরেই তাঁর মন্ত্রী হওয়ার জল্পনা। জানা গিয়েছে আপাতত চিন সফরে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ফিরলেই মন্ত্রীসভায় বড়-সড় রদবদল হওয়ার কথা। আর তখনই মাশরাফিকে মন্ত্রী করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর বংলাদেশী অধিনায়ককে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন বাংলাদেশি অধিনায়ক।
ভারত ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য উঠেছিল মাশরাফির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্বাবনার ক্থাও। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন তাঁকে কী আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মাশাফি মজা করে বলেন, 'আপনি কি আমায় পেরে ফেলতে চান নাকি?'
গত বছপর বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামি লিগের টিকিটে নড়াইল ২ নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন মাশরাফি। বাংলাদেশে তিনি দারুণ জনপ্রিয়। এশিয় দেশ গুলিতে ক্রিকেটারদের খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে আসার প্রবণতা থাকলেও মাশরাফিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি খেলা ছাড়ার আগেই দেশের সংসদের সদস্য হন।