চলতি বছরের গোড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অবসর জানিয়েছেন ইরফান পাঠান। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ খেলেছিলেন ২০১২ সালে। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ইরফান। টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলার হিসেবে একমাত্র ভারতীয় যার হ্যাটট্রিক রয়েছে। অপরদিকে ২০১৮ সালে শেষ বার মেন ইন ব্লুতে দেখা গিয়েছিল সুরেশ রায়নাকে। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর একাধিক ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছেন দেশের হয়ে। তবে তার ফর্ম ওঠা পড়া করেছে। ইরফান দীর্ঘ বছর ব্রাত্য থাকার পর অবসর ঘোষণা করেছেন। রায়না অবসর ঘোষণা না করলেও, বর্তমানে ভারতীয় দলে ব্রাত্য তিনি। লকডাউনে লাইভ চ্যাটে আড্ডায় বসেছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। সেখানেই একযোগে বোর্ডের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দুজনই।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে বড় ঘোষণা, নিজের অবসরের সময় জানালেন রোহিত শর্মা
লাইভ চ্যাটে আফসোস করে ইরফান পাঠান জানিয়েছেন,“৩০ বছর বয়সেই নির্বাচকরা আমাকে বুড়ো বানিয়ে ফেলেছিল। বোর্ড ও নির্বাচকদের থেকে কিচ্ছু বলা হয়নি। ওরা যদি বলত, ইরফান, এক বছর নিজের সেরাটা উজাড় করে দাও, তার পর দেশের হয়ে খেলতেও পারো, তা হলে নিশ্চিত ভাবেই সব কিছু ছেড়ে মরিয়া হয়ে উঠতাম সেরাটা মেলে ধরতে। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।”অবসর নেওয়া অলরাউন্ডারের মতে, “ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভারতে মানসিকতা একেবারে আলাদা। অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল মাইকেল হাসির। যখন কেরিয়ার শেষ করে তখন ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু, ভারতে ৩০ বছর বয়সে কোনও ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটা সম্ভব নয়। নির্বাচকরা সুযোগই দেবেন না তেমন কাউকে।”
আরও পড়ুনঃশুরুর আগে ধাক্কা বুন্দেসলিগাতে, করোনার কবলে দ্বিতীয় ডিভিশনের দুই ফুটবলার
আরও পড়ুনঃলা লিগা শুরুর আগে ধাক্কা,করোনায় আক্রান্ত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের প্লেয়ার
এছড়াও পাঠান বলছেন,আমার মতে ত্রিশের বেশি বয়সি ক্রিকেটাররা, যাঁরা আর বোর্ডের নজরে নেই, তাঁদের দুটো বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া উচিত।” বিসিসিআইয়ের নিয়মের সমালোচনা করেছেন সুরেশ রায়নাও। দল নির্বাচন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দুটি বিদেশি লিগ খেলার প্রসঙ্গে পাঠানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে রায়না বলেন, আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দুটি করে বিদেশি লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া। তাতে বাইরে খেলার সঙ্গে অভ্যস্ত থাকার পাশপাশি সেখানে পারফর্ম করলে আমাদের দলে ভারতীয় দলে পেরার রাস্তাও খোলা থাকবে। দুই ক্রিকেটারের লাইভ চ্যাট থেকে এটুকু পরিষ্কার যে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকদের প্রতি একরাশ অভাব, অভিযোগ, মান, অভিমান রয়েছে দুই ক্রিকেটারের।