যাদবপুরের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যেদিন থেকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেইদিন থেকেই যেন তাঁকে আতস কাঁচের নীচে রেখে বিচার করছেন নেটিজেনরা। তারপর তাঁর গতিবিধি, কর্মসূচী সবকিছুর ওপরেই যেন প্রতিনিয়ত নীতি পুলিশ চালিয়েছে নেটিজেনরা।
যাদবপুরের লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রার্থী তথা মিমির খুব কাছের বান্ধবী নুসরত জাহানের সঙ্গে সংসদে পৌঁছেই বেশকিছু ছবিও তোলেন তিনি। সেদিন তাঁর পরনে ছিল ব্লু ডেনিম, সাদে শার্ট এবং স্নিকার। সেইসঙ্গে নুসরত পরেছিলেন একটি বার্গান্ডি রঙের ফর্মাল পোশাক। সেইদিনও তাঁদের পোশাক নিয়ে নীতি-পুলিশি করেছিল নেটিজেনরা। শুধু তাই নয়, তাঁরা যে ভঙ্গিতে ছবি তুলেছিলেন তা লোকি সংসদীয় ভাবমূর্তির সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয় বলেও মত ছিল অনেকের। অন্যদিকে অনেকে তাঁদের পক্ষে যুক্তি দেন যে, সংসদে যেহেতু কোনও পোশাক বিধি নেই, সেহেতু কে কী পোশাক পরে যাবেন তা একেবারেই তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। তাঁদের ছবি তোলার বিষয়টিকে বাহবা জানিয়ে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও জানান, আমরা যেখানে উঠতে-বসতে ছবি তুলি, সেখানে মিমি-নুসরতের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিনে যে তাঁরা ছবি তুলবেন, তা তো অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।
মিমি কি নিরামিষাশী হয়ে যাচ্ছেন! হঠাৎ এরকম ভাবনা কেন তারকা-সাংসদের মাথায়
শপথ গ্রহণের আগেই এলাকা পরিদর্শনে সাংসদ, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন মিমি
কিন্তু এরপর ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর যখন সংসদের সামনে দাড়িয়ে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তখন অনেকের দাবি ছিল যে, এইবার নীতি পুলিশের দল কোথায়?! এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে টুইটও করেন সাংবাদিক স্বাতী চতুর্বেদী। স্বাতী লেখেন, ফ্যাশন পুলিশরা কি এখনও গৌতম গম্ভীর-কে আক্রমণ করেছেন? নাকি ফ্যাশন পুলিশ কেবল মেয়েদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? তবে গৌতম গম্ভীরকে খুব ভাল লাগছে।
আর তাঁর এই টুইটের উত্তরেই মিমির স্পষ্ট জবাব যে, না, সম্ভবত মেয়ে বলেই তাঁদেরকেই বারবার আক্রমণ করা হয়েছে। তবে সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন যে, গৌতম গম্ভীরকে খুব ভাল লাগছে।