ভুট্টার দানা ফাইবার, ভিটামিন সি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যে কারণে এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয় এবং অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞও এটি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুট্টা একটি দেশি খাবার যার স্বাদ অনেকেই পছন্দ করে। ফলে নানান ভাবে এই ভুট্টাা খেয়ে থাকে। ভারতে বেশিরভাগ মানুষ এটিকে আগুনে পুড়িয়ে করে খেতে পছন্দ করে। যদিও পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি সিদ্ধ করে খাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। ভুট্টার দানা ফাইবার, ভিটামিন সি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যে কারণে এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয় এবং অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞও এটি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে ভুট্টা রান্না করার সময় আমরা প্রায়ই এর ফাইবার বা ফাইবার ফেলে দিই। আপনি যদি এই তন্তুগুলির উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তবে আপনি কখনই এমন ভুল করবেন না। ভারতের বহু পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুট্টার এই ফাইবার বা তন্তু থেকে আমরা আরও অনেক পুষ্টি পেতে পারি, তবে জেনে নেওয়া যাক ভুট্টার এই ফাইবার থেকে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
কর্ন ফাইবারের উপকারিতা-
১) কোলেস্টেরল
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া বর্তমান যুগের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, তা না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। এমন অবস্থায় ভুট্টার ফাইবার খাওয়ার ফলে রক্তনালিতে উপস্থিত কোলেস্টেরল বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
২) ডায়াবেটিস
যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য কর্ন সিল্ক আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩) অনাক্রম্যতা-
প্রাচীণ যুগ থেকে অনাক্রম্যতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে সংক্রমণ এড়ানো যায়। যেহেতু ভুট্টার ফাইবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, তাই এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪) হজম
যাদের পেট খারাপের অভিযোগ আছে তাদের জন্য ভুট্টার তন্তু খাওয়া অপরিহার্য, কারণ এই তন্তুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন- কয়েক মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ভ্যাকসিন, জেনে নিন দাম ও ওষুধ
আরও পড়ুন- পেটে ক্যান্সার হলে প্রথম দিকের এই লক্ষণগুলি দেখা যায়, জেনে নিন এই রোগের কারণ
আরও পড়ুন- এই ভুলগুলো মেটাবলিজম রেট কম করে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন
৫) গর্ভাবস্থায় পুষ্টি দেয়-
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই কর্ন ফাইবার খাওয়া উচিত কারণ এতে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা গর্ভবতী মা এবং পেটে থাকা শিশুর জন্য উপকারী হতে পারে।
এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এটি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।