বিরিয়ানি নামটা শুনলেই খিদেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। বিরিয়ানির প্রতি টান যেন বরাবরই ছিল বাঙালির। তবে আগেকার দিনে এই বিষয়টা এত দৌরাত্ম ছিল না। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানেই এর চল ছিল। এখন শহরের অলিতে-গলিতে, আনাচে-কানাচে বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। আর তাও আবার সাধ্যের মধ্যেই সাধপূরণ। তবে বর্তমানে নিজের নাগালের মধ্যে থাকলেও করোনার দাপটে উপায় নেই সেই সাধ পূরণের। বিরিয়ানির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পা-ও যেন আটকে যায়, তাকে উপেক্ষা করার সাধ্য কার আছে।
আরও পড়ুন- শহরের পাঁচতারা হোটেলের রাজকীয় খাওয়ার এবার পৌঁছবে বাড়িতেই, পরিষেবায় কিউমিন
তবে মনে করা হয় কলকাতায় প্রথম বিরিয়ানি আসে অওয়ধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ-এর হাত ধরে। ইতিহাস অনুসারে, ১৮৫৬ সালে অওয়ধ ছেড়ে কলকাতায় এসেছিলেন ওয়াজিদ আলি শাহ। আর তার পর থেকেই কলকাতাতেই জীবনের বাকি দিন গুলি কাটিয়ে দেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভোজন রসিক। তাঁর সুবাদেই কলকাতায় আসে বিরিয়ানি। তবে এই বিষয়ে বিতর্কও রয়েছে। তবে বিতর্ক থাকলেও কলকাতার বিরিয়ানির স্বাদের তুলনা নেই।
করোনা আতঙ্কের জেরে কার্যত স্তব্ধ দেশের জন জীবন। এমন অবস্থায় ইচ্ছে থাকলেই রেস্তোরাঁর খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এদিকে আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ইদ। পবিত্র এই উৎসবে বিরিয়ানি হবে না তাও আবার হয়। তাই আজ রইল ইদ স্পেশাল, কলকাতা স্টাইলে মটন বিরিয়ানি তৈরির সহজ রেসিপি। যা ঘরবন্দি জীবন কাটনো মন ভালো করে দেবে এক নিমেশেই। রইল জিভে জল আনা মটন বিরিয়ানি তৈরির সহজ রেসিপি