অনবদ্য ভঙ্গিতে ফিরে এলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ভক্তদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বমহিমায় ফিরলো সে। যেই উত্তেজনা, যেই আবেগ-এর জন্য ভক্তরা এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন সেই সমস্ত কিছু ফিরিয়ে নিয়ে এলো ইউসিএল। একইদিনে দুটি অসাধারণ ম্যাচের সাক্ষী থাকলো ফুটবল দুনিয়া। দুটি ম্যাচই ভরা ছিল আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ এবং অসাধারণ ফুটবলে ভরা।
আরও পড়ুনঃভারতের জাতীয় হকি দলে করোনার থাবা, আক্রান্ত অধিনায়ক মনপ্রীত সিং সহ ৫
জুভেন্তাসের ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল অলিম্পিক লিওন। এর আগে শেষ ষোলোর প্রথম পর্বের ম্যাচটি তারা নিজেদের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল। এর পর ফ্রেঞ্চ লিগ বাতিল হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন বিশ্রাম পেয়েছিল তারা। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নামার আগে মাত্র একটি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেছিল তারা। সেটি ছিল কোপা দে লা লিগের ফাইনাল এবং সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পিএসজি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভালো লড়াই করেও হারতে হয় তাদের। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে মরিয়া ছিল তারা। এইজন্য তাদের দরকার ছিল একটি অ্যাওয়ে গোল। যা তারা কালকের ম্যাচের ৮ মিনিটেই তুলে নেয়। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেমফিস দিপাই। এগ্রিগেটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লিওন।
আরও পড়ুনঃ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপ হবে ভারতের মাটিতে, সিদ্ধান্ত আইসিসির
আরও পড়ুনঃকরোনা কোপ,এবার এক বছর পিছিয়ে গেল মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ
এরপর জুভেন্তাস কে জিততে গেলে করতে হতো তিনটি গোল। ২ গোল করে এগ্রিগেট সমান করলে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট পাবে লিওন-ই। এই সময় লিওন শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তথা বিশ্বের সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। একবার অল্পের জন্য গোলকিপার কে একা পেয়েও বাইরে মারেন তিনি। তারপর তার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক কোনওরকমে বাঁচান লিওন গোলরক্ষক অ্যান্তনি লোপেজ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১৫ মিনিটের মাথায় ২২ গজ দূর থেকে নেওয়া রোনাল্ডো গোলার মত শট লিওন গোলকিপার কে পরাস্ত করে টপ কর্নার দিয়ে গোলে ঢোকে। এরপর মরিয়া চেষ্টা চালান রোনাল্ডো। তার ক্রস থেকে করা হিগুয়েনের হেড লক্ষভ্রষ্ট হয়। রোনাল্ডো নিজের একটি দুর্দান্ত হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। গোটা জুভেন্তাস দল মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ২-২ এগ্রিগেটে। অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় লিওন। দুর্দান্ত চেষ্টার পরেও আর একটি রূপকথা লিখতে ব্যর্থ হন রোনাল্ডো।