দুর্দান্ত দি মারিয়া। আর্জেন্তাইন উইঙ্গারের অসাধারণ পারফরম্যান্সের দৌলতেই সেমিফাইনালে লেপজিগ-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছলো পিএসজি। ৩-০ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালেই শেষ হল জার্মান ক্লাব আর বি লেপজিগের স্বপ্নের দৌড়। এই তিনটি গোল করেন মারকিউনস, দি মারিয়া এবং বার্নার্ড। নিজে একটি গোল করার সাথে সাথে বাকি দুটি গোল এসেছে দি মারিয়ার পাস থেকেই। দি মারিয়ার গোলটির ক্ষেত্রে ব্যাকহিল করে অসাধারণ পাস বাড়িয়েছিলেন নেইমার। ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করে যান দি মারিয়া। স্বভাবতই ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
আরও পড়ুনঃআইপিএলের নয়া টাইটেল স্পনসরেরও নাকি রয়েছে চিনা যোগ, অস্বস্তিতে বিসিসিআই
মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কোচিংয়ের করিয়ে আর বি লেপজিগের মতো দল-কে সেমিফাইনাল অবধি তুলে এনেছিলেন জুলিয়েন নাঙ্গেলসম্যান। পিএসজির মতো হাই প্রোফাইল দলের বিরুদ্ধে এই হারে লেপজিগের কৃতিত্ব কিছুমাত্র কমে যায় না। প্রথমার্ধে অবশ্য নিজেদের স্বাভাবিক খেলা না খেলে খানিকটা গুটিয়ে ছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটি গোলই হয়েছে তাদের ডিফেন্সের অনভিজ্ঞতার জন্য। প্রথম গোলটির সময় ফাঁকায় বিনা মার্কিংয়ে গোল করে যান মারকিউনস। দ্বিতীয় গোলেও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিতে গিয়ে পিএসজির ফরোয়ার্ড-দের পায়ে বল তুলে দেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক দৃষ্টিনন্দন খেলা খেললেও ফাইনাল বল ও একজন পাকা ফিনিশারের অভাবে ভুগেছে লেপজিগ।
আরও পড়ুনঃনা সচিন, না সৌরভ, ভারতের ইতিহাসে প্রথম এই সম্মান পেতে চলেছেন ধোনি
নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠলো প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। দিনের পর দিন পয়সা খরচ করে পিএসজি কর্তারা যে দল তৈরি করেছেন তা অবশেষে ফুল ফোটালো। শেষ পর্যন্ত ফল হাতে আসে কিনা তার উত্তর সময়ই দেবে। কাল দুটি গোলে সহায়তা করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলে সহায়তার তালিকায় চার নম্বরে থাকা জাভি-কে ছুঁয়ে ফেললেন দি মারিয়া। তার মোট অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৩০। ৪০ টি অ্যাসিস্ট করে এক নম্বরে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে এই মুহুর্তে পিএসজি কে চিন্তায় রাখছে কিলিয়ান এমব্যাপে এবং নেইমারের গোল করার অক্ষমতা। গোলের সামনে গিয়েও ফিনিশ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন দুই তারকাই। কাল দু বার নেইমারের শট পোস্টে লাগে। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমব্যাপেও। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে যদি খেলতে হয় তবে এত সুযোগ নষ্টর কড়া মাশুল দিতে হবে পিএসজিকে।