ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়ছিল। রবিবার মেসির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বার্সেলোনার পক্ষ থেকে। সেখানে বলতে উঠে কেঁদে ফেললেন লিও।
আবেগ প্রবণ তিনি বরাবরই। আনন্দ হোক বা দুঃখ। চোখের কোণ তার ভিজবেই। ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে হারের পর মেসির চোখে জল দেখেছিল গোটা বিশ্ব। তারপর ২০১৫ ও ২০১৬ দুটি কোপা আমেরিকা ফাইনালে পরপর হারে চোখের জল বাঁধ মানেনি ফুটবল মহাতারকার। সবশেষে চলতি বছর কোপাতে দেশের জার্সি গায়ে ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হতেই আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লিও। এবার আরও একবার অঝোরে কাঁদলেন মেসি। কারণ ২১ বছর কাটানোর পর প্রায় একপ্রকার নিজের বাড়ি ছাড়লেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে শেষবার সাংবাদিক বৈঠক করতে এসেই নিজেকে সামলাতে পারেননি বার্সার বহু যুদ্ধের নায়ক।
বার্সেলোনা যে মেসি ছাড়তে চলেছেন সেই কথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। মেসি অর্ধেক বেতনে খেলতে চাইলেও লা লিগার আইনি জটিলতার কারমে তা সম্ভব হয়নি। মেসি ও ক্লাব কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও শেষরক্ষা করা যায়নি লা লিগার অদ্ভূত নিয়মের কারণে। রবিবার ক্লাবের হয়ে শেষ সাংবাদিক বৈঠক করতে উছে মাইকের সামনে দাঁড়ানো মাত্রই অঝোরে কাঁদতে থাকেন মেসি। বলেন,'খুব কঠিন লাগছে ব্যাপারটা মেনে নিতে। এরকম হবে কোনও দিন ভাবিনি। ঠিকঠাক ভাবে ক্লাবকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলাম। প্রথম দিন থেকে নিজের সেরাটা দিয়েছি। আশা করি এক দিন ঠিক ফিরে আসতে পারব।'।
আরও পড়ুনঃসোনা জয়ের অনুভূতি থেকে আগামী লক্ষ্য, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নীরজ জানালেন মনের কথা
আরও পড়ুনঃবন্ধুরা খেপাত মোটা বলে, তিনি সেনার গর্বিত সদস্যও - ভারতের সোনার ছেলের অজানা কাহিনী
আরও পড়ুনঃশুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, সোনার ছেলে নীরজের সঙ্গে আড্ডা দিলেন মোদী, দেখুন ভিডিও
এদিনের মেসির শেষ সাংবাদিক বৈঠকে কোচ রোনাল্ড কোম্যান, দলের প্লেয়াররা ছাড়াও উপস্থিত ছুলেন পিকে, পুওলদের মত কিংবদন্তী ও মেসির একদা সতীর্থরা। এদিন মেসি আরও বলেন,'গত বছর চলে যাওয়ার কথা ভাবলেও, এই বছর থাকার জন্য মানসীকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। ২১ বছর ধরে পরিবারকে নিয়ে এই শহরই আমার ঘরবাড়ি হয়ে উঠেছিল। ক্লাবের জন্য সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যা অর্জন করতে পেরেছি তা সকলেক সহযোগিতায়। থেকে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি, কারণ সমর্থকদের খুব ভালোবাসি। কিন্তু লা লিগার নিয়মের জন্য থেকে যাওয়া হল না।' এদিন ক্লাবের বাইরে অসংখ্য সমর্থক ভিড় জমান মেসিকে দেখার জন্য,তাদের চোকও ছিল ভেজা।