সংক্ষিপ্ত
টোকিও অলিম্পিকে দেশবাসীর সোনার স্বপ্ন পূরণ করেছেন নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন থ্রোয়ে ইতিহাস তৈরি করে সোনার মেডেল জিতেছেন সোনার ছেলে। দেশকে গর্বিত করার পর জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা।
টোকিও ২০২০ অলিম্পিক্সে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন নীরজ চোপড়া। নীরজের কীর্তিতে দেশ জুড়ে উৎসবের আবহ। শুভচ্ছার জোয়ারে ভাসথে ভারতীয় তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার। অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সোনা জয়ের অভিজ্ঞতা থেকে আগামি লক্ষ্য, সব কিছু নিয়ে খোলামেলা আড্ডা দিলেন নীরজ চোপড়া।
অলিম্পিক সোনা জয়ে অনুভূতি-
এই মেডেল আমার কাছে সবকিছু। আমার জীবন। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু অলিম্পিকের থেকে বড় তো কিছুই হয়না। এখন এই মেডেল আমার কাছে রয়েছে, একটা ভালো অনুভূতি হচ্ছে।
দ্বিতীয় থ্রোয়েই সোনা জয়-
দ্বিতীয় থ্রোয়ের পর সেই সময় বুঝতে পারেনি যে সোনা জিতব। কারণ অনেকেই রয়েছে যারা তার থেকেও দূরে থ্রো করতে পারে। কিন্তু আমার ফিল হয়েছিল আমি আমার বেস্টটা দিয়েছি।
মাত্র ২৩ বছর বয়সেই লেজেন্ড-
এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, অনুর্ধ্ব ২৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিক গোল্ড জিতেছি। এবার লক্ষ্য আগামি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে ভালো কিছু করার ও পদক জেতার।
অ্যাথলেটিক্সে প্রথম সোনা জয়-
ভারত অ্যাথলেটিক্সে জিততে পারে না আগে বলত, এবার হয় আর কেউ বলবে না। কারণ আমরা সোনা জিতে নিয়েছি। আর আমার এই সাফল্য সকলের আশীর্বাদেরই ফল। কেউ একা তো কিছু করতে পারেনা। সকলের আশীর্বাদের জন্য ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা-
প্রধানমন্ত্রী মোদীজী আমাকে শুভেচ্ছা জানান। বলেন, খুব ভালো খেলেছি। তোমাকে দেখে অনেক যুল সম্প্রদায় স্পোর্টসের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আমি বললাম দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও জোর দিতে হবে। তাহলেই আরও নতুন নতুন ভালো ছেলে উঠে আসবে।
অলিম্পিক্স টাস্ক ফোর্স ও সরকারের সহায়তা-
অলিম্পিক্সকে টার্গেট করে যে টাস্কা ফোর্স গঠিত হয়েছিল, যেখানো অভিনব বিন্দ্রা, গোপীচাঁদরা ছিলেন, তাদের জন্য সকলেই খুব উপকৃত হয়েছেন। সরকারও খুবই সহায়তা করেছে। বিদেশী কোচ থেকে বিদেশে ট্রেনিং,সবরকম সুযোগ সুবিধা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। যার কারণে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আমারও এই সুযোগগুলিকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেয়েছি।
সেনা প্রধানের সঙ্গে কথা-
ওনার সঙ্গে বেশি কথা হয়নি। তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও বলেছন, তুমি দেশ ও ভারতীয় আর্মির নাম গর্বিত করেছো। আমি ঠিকঠাক বিশ্রম নিইনি সেই কারণেই ছোট কথা বলে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
অভিনব বিন্দ্রার সঙ্গে একই আসনে-
এতদিন পর্যন্ত উনিই একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যিনি ব্যক্তিগত ইভেন্টে অলিম্পিকে গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন। আমরা আলোচনা করতাম ওনার প্রসঙ্গে। এবার ওনার সঙ্গে একই আসনে আসার জন্য খুব বালো অনুভূতি হচ্ছে। অনেকটা স্বপ্নপূরণের মত।
আগামী লক্ষ্য-
দেশে ফিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তারপর নিজে কিছুটা ব্যক্তিগত সময় কাটাবো পরিবারের সঙ্গে। তরপর ফের নিজের ট্রেনিংয়ে ফিরব ও নিজেকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।
একইসঙ্গে জাতীয় পতাকার প্রতি নীরজ চোপড়ার সম্মান প্রদর্শনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নীরজের মতে দেশ সবার আগে, আর জাতীয় পতাক সম্মান করা সব সময় দরকার। তিনি চিরকাল তৈই করে এসেছেন।