ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিততে লিভারপুল ক্লাবকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩০ বছর। অবশেষে ১১৯৯০ সালের পর ২০২০ সালে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শুধু ক্লাব কর্তা বা তিন দশক ধরে ক্লাবের প্লেয়াররা নয়, সমর্থকরাও অপেক্ষা করেছিল প্রিয় ক্লাবের ইপিএল জয় দেখার জন্য । আর একথা তো সকলেই জানে সমর্থকদের জন্যই ক্লাব, ক্লাবের জন্য সমর্থক নয়। তাই লিভাপুলের ট্রফি জয় দেখার জন্য কঠিন পণ নিয়েছিলেন এক সমর্থক। ক্লাব ট্রফি না জেতা পর্যন্ত চুল কাটবেন না তিনি। ১৭ বছর ধরে চুলে কাচি ঠেকাননি ৩৭ বছর বয়সী লিভারপুল অন্ধ সমর্থক উকে ক্রিসনিকি। অবশেষ চুল কাটলেন ক্রিসনিকি।
আরও পড়ুনঃকরোনা আবহেই সুখবর, শিখর ধাওয়ানের পরিবারে এল নতুন অতিথি
কসোভাতে জন্মেছিলেন ক্রিসিনিকি। ভ্যানকুভারে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন লিভারপুল অন্তপ্রাণ এই সমর্থক। তাঁকে নিয়ে গর্ব করেন তাঁর বন্ধুরা। বরাবরই তিনি লম্বা চুল রেখে এসেছেন। অনেকেই জানতেন, স্রেফ স্টাইল-এর জন্যই তিনি এমনটা করেন! কিন্তু আদতে তা নয়। ক্রিসনিকির পরিবারের সবাই জানে তিনি পণ করেই বড় চুল রাখেন। বন্ধু ও পরিবারের অনেকেই তাঁকে বলেছিল কতদিন আর স্যালোঁয় না গিয়ে থাকবেন! আত্মীয়, বন্ধুরা অনেকেই তাঁকে চুল কাটানোর কথা বললেও তিনি কথা শোনেননি। কিন্তু ক্রিসনিকি কারো কথা কানে তোলেনি। তিনি নিজের পণে অটল ছিলেন।
আরও পড়ুনঃনিজের কেরিয়ারের সাফল্যের রহস্য হার্দিক পাণ্ডিয়াকে জানালেন বিরাট কোহলি
আরও পড়ুনঃফের এক বিরল প্রতিভার খোঁজ সেওয়াগের,৫ বছরের বাচ্চা চালাচ্ছে জেসিবি, ভাইরাল ভিডিও
অবশেষে স্বপ্নপূরণ হয়েছে ক্রিসনিকির। সাত ম্যাচ বাকি থাকতেই লিভারপুলের হাতে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের খেতাব। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন য়ুর্গান ক্লপের দল। যার অংশীদার সালহা, মানে , ফির্মিনো, হেন্ডারসনরা। একইসঙ্গে পণ পূরণ হওয়ায় হাসি মুখে সেলুনে গিয়ে চুল কাটলেন লিভারপুল অন্ত প্রাণ ক্রিসনিকি। ক্রিসনিকি বলেছেন,'প্রতিটা মরশুম শেষ হত হতাশা নিয়ে। তবে জানতাম কোনও একদিন স্বপ্নপূরণ হবে। বেঁচে থাকতে আমার স্বপ্ন পূরণ হল। এই আনন্দের মুহূর্ত দেখে যেতে পারলাম। একইসঙ্গে কাটলাম চুলও।' সত্যিই ক্রিসনিকিরাই বারবার প্রমাণ করেন সমর্থকদের জন্য ক্লাব।