গুয়ার্দিওয়ালার হঠকারিতার ফল, লিওনের কাছে হেরে চ্য়াম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় ম্যান সিটি-র

  • আরও এক মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশ করলো ম্যান সিটি
  • লিওনের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল সিটি
  • গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়েই ভুগলেন পেপ গুয়ার্দিওয়ালা
  • সেমি ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে নামবে লিওন

Reetabrata Deb | Published : Aug 16, 2020 3:51 AM IST

আরও একবার প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স করতে ব্যার্থ হল পেপ গুয়ার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটি। ফ্রেঞ্চ লিগে গত মরশুমে সাত নম্বরে শেষ করা লিওনের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল কেভিন দি ব্রুইন-রা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়েই দলকে ডোবালেন পেপ গুয়ার্দিওয়ালা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মরশুমে হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচে ৩-৫-২ ছকে দলকে খেলিয়েছিলেন পেপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে আবার এই চকে সাজালেন তিনি। যেখানে গত ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ছকে দুর্দান্ত খেলেছিল সিটি। অনেকের মতে পেপ গুয়ার্দিওয়ালা প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি, যার প্রমাণ এই অনিয়মিত ছকে দল সাজানো। যার ফলে হাড়ে হাড়ে টের পেলো সিটি। 

আরও পড়ুনঃটেস্ট ক্রিকেট থেকে ওডিআই-টি২০, একঝলকে ফিরে দেখা মাহির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার

শুরু থেকেই সিটির সাথে তাল মিলিয়ে খেলতে শুরু করে লিওন। একবারের জন্যও প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টার সিটি-কে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে দেয়নি তারা। উল্টে প্রতি-আক্রমণে বার বার তারা চাপ তৈরি করেছে সিটির তিন জনের ডিফেন্সে। যার ফলস্বরূপ ২৪ মিনিটে ম্যাক্সওয়েল কর্নেটের গোলে এগিয়ে যায় লিওন। ম্যান সিটির দুর্বল ডিফেন্স এবং গোলকিপারের ভুল পজিশনের সুবিধা তোলে লিওন। এর পরে প্রথমার্ধতে আক্রমণ করেও লিওন ডিফেন্স কে চাপে ফেলতে ব্যর্থ হয় সিটি।

আরও পড়ুনঃসচিনের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন, ধোনির অবসরে ভারাক্রান্ত মাস্টার ব্লাস্টার

আরও পড়ুনঃসৌরভ যে 'দাদা',তা বুঝিয়ে দিলেন ধোনির অবসর নিয়ে করা এই মন্তব্যে

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় সিটি। কিন্তু লিওনের গোলে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেন অ্যান্টোনি লোপেজ। তা সত্ত্বেও অনেক চেষ্টার পর ৬৯ মিনিটে অসাধারণ শটে সমতা ফেরান কেভিন দি ব্রুইন। এরপর দু পক্ষই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায়। কিন্তু সিটির দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে দু বার গোল করে যান পরিবর্ত হিসাবে নামা মৌসা ডেমবেলে। লিওন কোচ রুডি গার্সিয়ার স্ট্র্যাটেজি-কে দুর্দান্ত ভাবে সফল করে তোলে লিওনের প্রতিটি প্লেয়ার। অপরদিকে ডিফেন্স থেকে আক্রমণ, ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সব জায়গায় ছন্দ হারাতে থাকে ম্যান সিটি। ৮৬ মিনিটে অবিশ্বাস্য ভাবে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যার্থ হন রাহিম স্টার্লিং। একরাশ হতাশা নিয়ে ম্যাচ শেষ করে তারা। এই জয়ের ফলে ১৯ তারিখ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হতে চলেছে লিওন। যোগ্য দল হিসাবেই সেমির টিকিট পেয়েছে তারা।

Share this article
click me!