গবেষণা অনুসারে, আপনি যদি প্রতিদিন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান, তবে এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা তৈরি করতে সহায়তা করে। তবে ভারতীয়রা প্রায়শই বেশি রাতে খেতে পছন্দ করেন। রাতে পরিবারের সবার সঙ্গে খেতে বসা পারিবারিক বন্ধন জোরালো করে ঠিকই। তবে আপনার অবশ্যই জানা উচিত যে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য রাতে দেরি করে খাদ্য গ্রহণ কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এই গবেষণা অনুসারে, ডিনারের অভ্যাস ক্যালোরি গ্রহণ এবং দুর্বল পুষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই জেনে নিন রাতে দেরিতে খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কিত গবেষণা সম্পর্কে বিস্তারিত-
এই বিষয়ে গবেষণার জন্য চারটি দল বেছে নেওয়া হয়েছিল। এদের খাবারের পরিমানের ভিত্তিতে পুষ্টিকর খাদ্য সূচক অনুসারে একটি খাদ্য তালিকা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল।
210
গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মানব দেহে ক্ষুধার্ত বোধ প্রক্রিয়াটিও একটি নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করে। এটি দিনের শেষে সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়।
310
এই গবেষণার বিজ্ঞানীদের মতে, যে খাওয়ার খাওয়া হয় এবং এর ধরণ উভয়ই আপনার স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
410
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যায় খাবারের সময়, অংশগ্রহণকারীরা ৪০ শতাংশ ক্যালোরি গ্রহণ করেছিলেন। যারা সন্ধ্যের খাবার গ্রহণ করেন, তারা দিনের বেলাতে কম ক্যালোরি গ্রহণ করেছেন।
510
সন্ধ্যায় ক্যালোরি গ্রহণ কম ডায়েটারি মানের স্কোরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ব্রেকফাস্টের মত ডিনার সময় মতো করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একই সঙ্গে বিজ্ঞানও এটিকে সমর্থন করে।
610
গভীর রাতে খাওয়া আপনার সার্কেডিয়ান রিদমকে অনুসরণ করে না এবং এজন্য আপনাকে রাতে শোওয়ার অন্তত বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
710
পুষ্টি বিশেষজ্ঞের মতে, সময় মতো খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কারণ, এটি আপনার অন্ত্রগুলি মেরামত করে এবং সহজেই এ্যাক্টিভ রাখতে সাহায্য করে।
810
রাতে বেশি পরিমানে খাওয়া বা গভীর রাতে খাওয়ার ফলে স্থূলত্ব এবং অন্যান্য কার্ডিওমেটাবলিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
910
পুষ্টি বিশেষজ্ঞের মতে রাতের খাবার এবং শোওয়ার সময় কালের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই সর্বদা ২-৩ ঘন্টার ব্যবধান রাখতে হবে।
1010
যাঁরা দ্রুত ডিনার করতে পারেন না, তাদের উচিত রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে যাওয়া। তবে একেবারে খাবার না খাওয়া উচিৎ নয়। এই অভ্যাস শরীর আরও দুর্বল করে তুলতে পারে। তাই ডিনারের বিষয়ে এই বিষয়গুলি মাথার রাখা অত্যন্ত জরুরী।