ওজন কমাতে নিন সাত দিনের Oatmeal Challenge, মুহূর্তে মিলবে উপকার, জেনে নিন কীভাবে

বাড়তি ওজন সকলেরই চিন্তার কারণ। তা ঝেড়ে ফেলতে চান অনেকেই। কিন্তু, কোন উপায় মেনে চললে লাভ হবে তা সকলে বুঝতে পারেন না। সে কারণে, প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ওজন কমে না। কিন্তু, বাড়তি ওজন সব সময়ই সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সঙ্গে তা একাধিক শারীরিক জটিলতার কারণ হয়। তাই সকলেরই প্রয়োজন এই বিষয় সতর্ক হওয়া। তবে, ওজন কমাতে গিয়ে অর্ধেক খেয়ে থাকবেন না। তেমনই মাত্রাতিরিক্ত এক্সারসাইজ করেও লাভ নেই। এবার ওজন কমাতে ওটসের ডায়েট মেনে চলুন। ওজন কমাতে বেশ উপকারী ওটস। জেনে নিন কীভাবে করবেন ওটমিল ডায়েট। এই ডায়েট শরীরের জন্য কতটা উপকারী দেখে নিন এক ঝলকে। 

Sayanita Chakraborty | Published : Aug 1, 2022 7:19 AM IST

110
ওজন কমাতে নিন সাত দিনের Oatmeal Challenge, মুহূর্তে মিলবে উপকার, জেনে নিন কীভাবে

ওজন কমাতে ৭ দিনের ওটমিল চ্যালেন্ড নিতে পারেন। এই ডায়েট করা তেমন কঠিন নয়। এক্ষেত্রে প্রথম দুই দিন দিনে তিন বার করে ওটমিল খেতে হবে। তারপর দুদিন অন্তত দু বেলা ওটমিল খাবেন।  শেষের বাকি তিন দিন দিনে ১ বার করে ওটস খান। টানা সাত দিন এই টিপস মেনে চলুন। 

210

৭ দিনের ওটমিল চ্যালেঞ্জ নিলে প্রথম দু দিন ১০০ থেকে ১২০০ ক্যালোরি কমে। পরবর্তী দু দিনে ১২০০ থেকে ১৪০০ ক্যালোরি কমে। বাকি তিন দিনে কমবে ১৪০০ থেকে ২০০০ ক্যালোরি। ওটস শরীরে বাড়তি চর্বি শোষণ করে নেয়। আর ওজন বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। তাই এই চ্যালেঞ্জ নিলে দ্রুত লাভ হয়।

310

এখন প্রশ্ন হল ওটস খাবেন কী করে। ওটস দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করে খেতে পারেন। প্রথমে গাজর, বিনস, ক্যাপসিকামের মতো একাধিক সবজি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার খুব কম তেল ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলুন ওটসের খিচুড়ি। এই ওটসের খিচুড়ি সকালের ব্রেকফার্স্টে যেমন খেতে পারেন। তেমন খেতে পারেন দুপুরে। 

410

জলখাবারে খেতে পারেন ওটসের উপমা। এই রেসিপি খুবই সহজ। আর এতে যেমন ওজন কমবে, তেমনই সুস্বাদু হওয়া এটি খেতেও তেমন সমস্যা হবে না। উপমা যেমন ভাবে তৈরি করেন, সেভাবেই বানিয়ে নিন ওটসের উপমা। সুজির বদলে ব্যবহার করুন ওটস। মিলবে উপকার। প্রতিদিন খেতে পারেন ওটসের উপমা।

510

তেমনই দুধ দিয়ে ওটস বানিয়ে খেতে পারেন। ওটস দিয়ে বানাতে পারেন পরোটা। ওটসের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ওটসের অমলেট। ওটস দিয়ে এমন একাধিক পদ বাঁধা যায়। এবার পছন্দ মতো বানিয়ে ফেলুন। ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তেমনই দ্রুত ওজন কমে। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। 

610

ওজন কমানো ছাড়াও একাধিক উপকার মিলবে ওটস খেলে। হার্ট ভালো থাকে ওটসের গুণে। এতে প্রচুর ফাইবার আছে যা ভালো কোলেস্টেরলকে প্রভাবিত করে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকলে হার্ট থাকবে সুস্থ। রোজ খেতে পারেন ওটস। এতে হার্টের সমস্যা দূর হবে। বর্তমানে বহু মানুষ অল্প বয়সে হার্টেরে রোগে ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবন। 

710

ওটস পুষ্টি জোগায় শরীরে। তেমনই অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। রোজ ওটস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রোজ জলখাবারে খান ওটস। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। যেমন মুক্তি পাবেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে তেমনই পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। এবার থেকে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। 

810

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটস খেতে পারেন। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ওটসের গুণে। রোজ ওঠস খেলে এতে থাকা উচ্চ ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। এতে সহজে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায় না। সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। মিলবে উপকার। 

910

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে খেতে পারেন ওটস। এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। বর্তমানে বয়স ৩০ এর কোটায় পা দিলেই একের পর এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই তালিকায় আছে যেমন ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তেমনই আছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ খান ওটস। 

1010

ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে খেতে পারেন ওটস। তেমনই ওটসের তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহারে মিলবে উপকার। ওটস, মধু, দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। তা ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঘষে ধুয়ে নিন। মিলবে উপকার। বাড়তি ওজন কমাতে যেমন ওটস খাবেন তেমনই ব্যবহার করতে পারেন ওটসের প্যাক।  

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos