APJ Abdul Kalam: মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা আবদুল কালামের বৈচিত্র্যময় জীবনের কোলাজ
এপিজে আবদুল কালাম ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন কালাম। তবে তাঁর পরিচয়ের ব্যপ্তি আরও বিশাল। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। তাঁর হাত ধরেই ভারত পরমাণু অস্ত্রধর দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় স্থান পায়। তিনি ভারতের মিসাইল ম্যান। তিনি দেশের অন্যতম সফল সন্তান। কালামের জন্ম তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে।
এপিজে আবদুল কালাম পোখরানে একাধিক পারমাণবিক পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে আবদুল কালাম পোখরান -২ পারমাণবিক পরীক্ষার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন
কালামের তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সালের জুলাই থেকে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় দেশ। এরপরেই আসে কাঙ্খিত মুহুর্ত। বিশ্বসভায় ভারত একটি পারমাণবিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এপিজে আবদুল কালাম ভারতের দুটি বড় বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা - প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) নেতৃত্বে ছিলেন
কালামকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি গাইডড মিসাইলসের উন্নয়ন ও পরিচালনায় অগ্রণী কাজ করার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। এই দুটি মিসাইল হ. অগ্নি ও পৃথ্বী।
ভারতের হাতে অগ্নি ও পৃথ্বী তুলে দেওয়ার জন্য তাঁকে দেশের মিসাইল ম্যান নামে ভূষিত করা হয়।
কালাম ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (এসএলভি)-এর উন্নয়ন ও পরিমার্জনের প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন।
আব্দুল কালাম
APJ Abdul Kalam
কালাম ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির উন্নয়নের জন্য প্রকল্প পরিচালনা করেছিলেন। সফল এসএলভি প্রোগ্রামের পিছনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির বিকাশের জন্য তিনি ডেভিল এবং ভ্যালিয়েন্ট প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।