প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে আগ্রহের সীমা নেই। গত কয়েক বছরে উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা। নরেন্দ্র মোদী মানেই কাজেরল ঘনঘাটা। ২০২১-এ অতিমারির মধ্যেও প্রবল ব্যস্ততায় ডুবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এমনই ২১টি ব্যস্ততার ছবি নিয়ে বছর শেষের এই কোলাজ ।
ছোটদের খুবই ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষে করে একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে বেশ জমিয়ে ছোটদের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে। ছোটদের শৈশব রক্ষায় তিনি এক জন রাষ্ট্রনেতা হিসাবে সর্বদাই তৎপর বলেও বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে দেখা যাচ্ছে দুই ক্ষুদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। ২০২১-এ প্রধানমন্ত্রীর সেরা ২১ ছবির তালিকায় এটা অন্যতম সেরা বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি পশ্চিম ভারতে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরকালেই এমন এক ক্ষুদে ভক্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। ছোট কন্যার আবেগভরা কথোপকথনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
দিব্যাঙ্গ একজন প্রতিবন্ধী। সেই দিব্যাঙ্গের সঙ্গে বারাণসী সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে খুব খুশি দিব্যাঙ্গ। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মোটিভেশান দিয়েছে তাতে প্রবল অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন দিব্যাঙ্গ।
নয়াদিল্লির লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। মোদী দেশের নিরাপত্তা ও বিদেশনীতিতে এই দুই ব্যক্তিকে প্রবল গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিদেশমন্ত্রী হিসাবে যেভাবে জয়শঙ্কর কাজ করছেন তাতে নাকি তিনি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছেন।
কত ঘণ্টা ঘুমোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছিলে খুব বেশি হলে ৩ ঘণ্টা ঘুমোন তিনি। ভোর থাকতেই নাকি ঘুম থেকে ওঠাটা প্রধানমন্ত্রীর অভ্যাস। শরীরচর্চা এবং যোগ তাঁর নিয়মিত রুটিনের তালিকায় থাকে। এরপরই তিনি নেমে পড়েন তাঁর কাজে। বিরামহীন এই কাজ তাঁকে এতটাই ব্যস্ত রাখে যে মধ্যরাতেও বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। তেমনি এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী।
শেষ আসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নানা সময়েই অনেকেই বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেকে সবকিছুতে আগে রাখতে ভালোবাসেন। কিন্তু এই ছবি কিছুটা হলেও অন্য বার্তাই দেয়। ২০২১ সালেই এই ছবি চিন্তন সত্তা অনুষ্ঠানের। সুষমা স্বরাজ ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। যেখানে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে এক্কেবারে শেষ রো-তে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্যাবিনেট বৈঠক মানেই নাকি মন্ত্রিপরিষদের কাছে রীতিমতো টাফ টাস্ক। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বৈঠকে এতটাই গবেষণা করে আসেন যে অন্য কেউ যদি হালকা চালে এলে তাকে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের পরিচালনার দায়িত্বভার নেওয়ার পর থেকেই নাকি পরিস্কার করে দিয়েছিলেন যে ক্যাবিনেটের বৈঠক মানে সকলকেই তৈরি হয়ে আসতে হবে। কেমন অবস্থায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকেন মোদী? এই প্রশ্ন সকলেরই। এখানে দেখাই যাচ্ছে যে তিনি রীতিমতো নোট নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সাংবিধানিক সম্পর্ক কী? এই নিয়ে অনেকেই অনেক সময় জানতে চান। রাষ্ট্রপতি হলে রাষ্ট্রের সর্বাধিনায়ক। আর প্রধানমন্ত্রী হলেন আইনসভার মাথা। যিনি দেশ পরিচালনার শাসনযন্ত্রের শীর্ষনেতা হিসাবে কাজ করেন। ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে নিয়মতান্ত্রিক শাসনপ্রধানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিচালনায় যদি কোনও আইন বা বিল অথবা অর্ডিন্যান্স মোদী সরকারকে লাগু করতে হয় তাহলে সংসদের প্রাপ্ত গরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে তা রাষ্ট্রপতিকে পাঠাতে তাঁর স্বাক্ষরের জন্য। এহেন রাষ্ট্রপতি-র বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের আয়োজন করা এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেই ছবি আপনাদের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর একটু পিছনেই দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে।
২০২১-এ বছরভর দেশজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানেও পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের অখণ্ডতা এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি বিশ্বের সামনে তুলে ধরে রাখতে তিনি তৎপর বলেও বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন। এমনকী বিভিন্ন বক্তব্যেও ভারতবর্ষের বহু ভাষা-বহু ধর্মের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে তার ছবিও তুলে ধরেছেন। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে মণিনগরের শ্রী স্বামীনারায়ণগাড়ি সংস্থানের আচার্য শ্রীজিতেন্দ্রিপ্রিয়াদাসজি স্বামী মহারাজ-এর কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বামী বিবেকানন্দ বারাণসীর ধর্ম মাহাত্ম এবং আধ্যাত্তিকতার তীর্থক্ষেত্র হিসাবে বারাণসীর নাম বহুস্থানে নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নিজেকে স্বামীজির ভাবশিষ্য হিসাবে প্রতিপন্ন করতে ভালোবাসেন। দৈবাৎক্রমে এখন বারাণসীর হয়ে সংসদের প্রতিনিধিও নরেন্দ্র মোদী। সেই সুবাদে গত কয়েক বছরে বারাণসীয় সৌন্দর্যায়ণে মোদী অসামান্য সব উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও অনেকে মনে করেন। এহেন বারাণসীর বুকে গঙ্গায় ভ্রমণকালে একদল পাখির ঘেরাটোপো প্রধানমন্ত্রী।
তুলসী গৌড়া। যিনি পরিবেশ বাঁচানোর স্বীকৃতি হিসাবে ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ভবনে সেই সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তুলসী গৌড়া। সেখানেই তুলসীদেবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই ছবি ২০২১ সালের প্রধানমন্ত্রীর সেরা ২১টি ছবির ক্যানভাসে স্থান পেয়েছে।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের পুনরুজ্জীবন এবং পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা চলেছে দশকের পর দশক। কিন্তু সরকার এসেছে গিয়েছে- কিন্তু কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের এই পুনরুজ্জীবনের কাজ এগোয়নি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েই এই নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন। অবশেষে পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রায় ৮০ শতাংশ। কারণ বহু বছর ধরে মন্দিরের উপরেই বাড়ি বানিয়ে কলোনি করে ফেলেছিলেন একদল মানুষ। তাঁদের পুনর্বাসন দিয়েই পুনরুদ্ধার করা হয়েছে কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির। নতুন রূপের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বয়স ১০৫ বছর। কিন্তু এখনো নিয়ম করে মাঠে যাওয়া এবং ক্ষেতের কাজ করাটা তাঁর স্বভাবগত বৈশিষ্ঠ্য। বলা হয় তিনি দেশের সবচেয়ে বয়স্ত কৃষক যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে ক্ষেত চাষ করেন। এহেন পাপামমাল আম্মার সঙ্গে কোয়েম্বাটোরে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ সালে পাপামমাল আম্মাকে আবার পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত করা হয়েছে।
কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উদযাপন করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পরাক্রম দিবস নামে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানেরই এক ঝলক আপনাদের জন্য।
নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১সালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির নওসেরায় নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতেন তিনি। আলাপচারিতার শেষে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে গ্রুপ ছবিও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের অলিম্পিকে ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় মহিলা হকি দল। তারা শেষ চারে পৌঁছেছিলো। এই প্রথম ভারতীয় মহিলা হকি দল অলিম্পিকের মতো আসরে এত দূর পর্যন্ত পৌঁছেছিলো। ভারতীয় মহিলা হকি দলের দুর্দান্ত হকি সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিল। টোকিও অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্বকারী সেই ভারতীয় মহিলা হকি দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকমাণ্য মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।
অতিমারিতে শুইয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের মতো দেশেও। কিন্তু, নানা অর্থনৈতিক নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে বিপদ সামলানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমতাবস্থায় বিশ্ব অতিমারির হাত থেকে রেহাই পেয়ে এক নতুন সূর্যের ইঙ্গিত পেয়েছে। তাই আগেভাগে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং বিনিয়োগকারী ও অর্থবিশেযজ্ঞদের মনে আস্থা জোগাতে এই বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০২১-এ ইটালি সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইটালি এবং ভারতের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে বিশ্বের কিছু রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এই আলাপচারিচার ফাঁকেই ভ্যাটিকান সিটিতে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে ভোট। তার আগে সেখানে প্রস্তুতি সেরে নিতে তৎপর বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সফরও এখন ঘন ঘন হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে একাধিক সরকারি প্রকল্পেরও উদ্বোধন হচ্ছে। এমন এক উত্তরপ্রদেশ সফরে সুলতানপুরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই একাধিক জনকল্যাণ প্রকল্প চালু করেছেন নরেন্দ্র মোদী। যার সুবিধা ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে যেমন বিনামূল্য চিকিৎসা করানোর প্রকল্প রয়েছে তেমনি ঘরে ঘরে জল দেওয়া থেকে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে এই সরকার। এমনই এক প্রকল্পের আওতাবুক্ত এই মহিলা কানপুরে সটানে প্রধানমন্ত্রী পা ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। বিনিময়ে আশীর্বাদ মিলেছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।
প্রয়াগরাজে সম্প্রতি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন তিনি। অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া মহিলাদের স্বনির্ভরতার বিষয়ে আলাপচারিতা হয়। কিছু মা আবার তাঁদের কয়েক মাসের শিশুদের কোলে করে নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। এমন এক মহিলার সন্তানের সঙ্গে আদর ও খুনসুটিতে মাতলেন প্রধানমন্ত্রী।