Published : Mar 30, 2020, 03:08 PM ISTUpdated : Mar 30, 2020, 03:15 PM IST
দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় খাবার যা তৈরি হয় ডাল ও চাল দিয়ে৷ খাদ্যরসিকরা মজা করে এই খাবারটিকে ভাপা পিঠার আত্মীয়ও বলেন। নামমাত্র তেলে পেট ভরা এই খাবার অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে জানলে অবাক হবেন, এটি ভারতীয়দের অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য হলেও এর জন্ম কিন্তু আদপেও ভারতে নয়। এর জন্মসূত্রে ইডলি আরবের। হিউয়েন সাঙ তাঁর এক ভ্রমন বৃত্তান্তে লিখেছিলেন, ভারতীয়রা ভাপে সেদ্ধ করে রাঁধতে জানত না। ঐতিহাসিকদের মতে, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ইডলির ভারতে আগমণ। তবে শুরুর দিকে মাংসের সঙ্গে চালের মিশ্রণে তৈরি হত ইডলি।
মাত্র চার বছর আগে এই ট্রেন্ড শুরু হয়। আজ ভোজন রসিকদের কাছে বিশ্ব ইডলি দিবস অত্যন্ত জনপ্রিয়।
210
চাল ও ডালের তৈরি এই সহজ সাদামাটা দেখতে পদটি যেমন সুস্বাদু তেমনি এর এই পদ পুষ্টিগুণে ঠাসা।
310
ঐতিহাসিকদের মতে ইডলির প্রথম জন্ম হয় ইন্দোনেশিয়াতে। যা দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে জনপ্রিয় ছিল।
410
আবার অনেকের মতে ৯২০ খ্রীষ্টাব্দেই কন্নড় গ্রন্থে 'ইড্ডালিজ' এই শব্দটি ব্যবহৃত করা রয়েছে। তাই এই শব্দটি ইঙ্গিত দেয় যে সে যুগেও এই পদের প্রচলন ছিল। এমনকী ১১৩০ খ্রিস্টাব্দের সংস্কৃত মনসোল্লা-তে ‘ইদ্দারিকা’ নামের উরদ ডালের তৈরি একটি পদের উল্লেখ ছিল।
510
বিশ্ব ইডলি দিবসের চিন্তাভাবনা যার মস্তিষ্ক প্রসূত তিনি হলেন এনিইয়াভান যার রেস্তোরাঁ দক্ষিণ ভারতে এই বিশেষ দিনে ২০১৫ সালে ১৩২৮ রকমের ইডলি বানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ৪০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি ইডলি বানিয়ে ছিলেন এই বিশেষ দিনটি উৎযাপন করার জন্য।
610
প্রতিদিন তামিলনাড়ু সহ গোটা দক্ষিণ ভারতে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ ইডলি তৈরি করেন।
710
কয়েক বছর আগে কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পাওয়া কিছু নথিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই কারণে আরবিয়ানদের দাবী ইডলি প্রথম তৈরি হয় আরবেই।
810
আরব বণিকরা সারা বিশ্বে বাণিজ্যে যেতেন সেখান থেকেই এই পদ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
910
কন্নড় ভাষায় লেখা ‘ভাদ্দারাদ্ধান’ গ্রন্থে ইডলির উল্লেখ রয়েছে। তাতে রচিত আছে বাড়িতে সেই যুগে কোনও ব্রহ্মচারী এলে ইডলি দান করার নিয়ম ছিল।
1010
এমনকী ১০২৫ সালে দ্বিতীয় চাভুন্দার্যের এক বইয়েও ইডলির উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে সেই বইতে যেভাবে ইডলি রান্নার বর্ণনা করা হয়েছে তার সঙ্গে আজকের ইডলির কোনও মিল প্রায় নেই বললেই চলে।