চুলের স্টাইলেই বাজিমাত অফিস সাজ, রইল কিছু নজরকাড়া স্টাইল
অফিসে যাওয়ার সময় যেমন পোশাক নিয়ে সমস্যায় পড়ি আমরা ঠিক তেমনই কোন পোশাকের সঙ্গে কী চুল বাধব এই নিয়েও হাজারো সমস্যার সৃষ্টি হয়। অফিসে চুলের স্টাইল সবসময়েই খুব ফর্মাল হওয়া উচিত। অফিস হল একটি কাজের জায়গা যেখানে পার্টি লুকসে কখনওই যাওয়া উচিত নয়। এলোমেলা করে চুলে খুলে না রেখে বরং তার চেয়ে পরিপাটি করে বেধে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। খুব সাধারণ কতগুলো হেয়ার স্টাইল এখানে দেওয়া হল, যা অফিস লুকের জন্য একদম পারফেক্ট।
শর্ট হেয়ারস্টাইল অফিসের জন্য আদর্শ। যাতে লেয়ার্স থাকতেও পারে আবার না-ও থাকতে পারে। সামনের দিকটা ফ্লিকস করে কেটে নিতে পারেন। এতে আলাদা একটা স্টাইল ক্যারি করবে।
পনি টেল অফিসের হেয়ার স্টাইলের পক্ষে অনন্য। পনি টেল বিভিন্ন ভাবে বেধে নিতে পারেন। নিজের মুখের শেপ অনুযায়ী উচু-নিচু করে বেধে নিন।
মুখের সামনের থেকে পুরো সামনের দিকে চুল পিছন দিক অবধি নিয়ে যান। তারপর ‘ববি পিন’-এর সাহায্যে সেটা উপরের দিকে তুলে, মাথার ভিতরের দিকে আটকে দিন। টান-টান যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
অফিসে কোনও মিটিং থাকলে সেইমতো ড্রেস পরুন। আর তার সঙ্গে প্রপার হেয়ার স্টাইল মাস্ট। মাঝখানে সিঁথি করে হালকা করে সামনের দিকটা একটু ফুলিয়ে একটা খোপা করে নিতে পারেন। খুব বেশি টানটান করবেন না।
ব্যস্ত কর্মজীবনের জন্য চুল ছোট করে কেটে রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন।আর সেই চুলটাকেই ভালো করে মেনটেন করেন। তাই ছোট চুলও নিজের খুশিমতো স্টাইলে রাখুন।
চুল খুলে রাখলেও সেটা যেভাবে খুশি রাখবেন না। প্রপার কাটিং করে তবেই রাখবেন।
বড় চুল হলে সমস্যা যেমন বেশি তেমন সৌন্দর্যও অন্যরকম। যাদের বড় চুল রয়েছে এবং চুল খোলা রাখতে পছন্দ করেন তারা লেয়ার্স করে চুলটাকে কেটে নিন। দেখবেন একদম অন্যরকম একটা লুক আসবে।
যাদের কোকড়ানো চুল তারা অনায়াসেই চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান, আবার চাইলেও কেউ কেউ পারেন না। তাদের জন্য চিন্তার আর কোনও কারণ নেই। তার অনায়াসেই বড় কার্ল করে অফিসে বাজিমাত করতে পারবেন।
মাঝারি চুলের স্টাইলেও খুব সহজে এই সুন্দর হেয়ার স্টাইল করতে পারেন। প্রথমে চুলটা খুব উঁচু করে নিয়ে পনিটেল করুন। তারপর সামনের লেয়ারস গুলো হালকা করে বার করে নিয়ে কানের সাইডে গুজে নিন।
সাইড বান দেখতেও সুন্দর লাগে। অফিসের কোনও পার্টিতে এই হেয়ারস্টাইল যেমন করতে পারেন তেমনি নর্মাল দিনেও অনায়াসেই ট্রাই করতে পারেন। শুধু পার্টির দিনে একটা ডিজাইনার কাটা বা ফুল দিয়ে দিন। আর নর্মাল দিনে কিছুই লাগাবেন না।
চুল কার্ল করেও টপনট করে নিতে পারেন। এতেও আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করবে।
মুখের সামনে যেন চুল না আসে সেদিকটা মাথায় রেখে পরিপাটি করে বাঁধা বিনুনি অফিসের হেয়ার স্টাইলের পক্ষে আদর্শ।