সুস্থতার সঙ্গে ঘুমের কী সম্পর্ক, জেনে নিন বয়স অনুযায়ী ঘুমের পদ্ধতি
আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। সুস্থ শরীরের জন্য ঘুম কতটা জরুরি তা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম কতটা জরুরু সেই বিষয় মানুষ কতটা সচেতন তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। আর মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা গড়ে তুলতেই ২০০৮ সালে প্রতিবছরহ মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার ঘুম দিবস পালন করা হয়। আর আজই হল সেই বিশেষ দিন। বর্তমানে এই ব্যস্ততার যুগে সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। যার একটি বড় কারণ ঘুম। ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে বড় বড় রোগ। তবে সুস্থতার সঙ্গে ঘুমের কী সম্পর্ক রয়েছে, এবং আপনার বয়স অনুযায়ী কতটা ঘুমের প্রয়োজন হয়, জেনে নিন বিশদে।
যাদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তারা ভাল করে ঘুমান। ঘুমোলে স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
যারা খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা কমপক্ষে ৮-১০ ঘন্টা ঘুমোন। আর ৬ সপ্তাহ পরেই নিজের তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
অতিরিক্ত ঘুম কিংবা কম ঘুম তার প্রভাব পড়ে আয়ুষ্কালের উপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৫০-৮০ বছর মহিলাদের মধ্যে বেশিরভাগই মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুমের জন্য।
গবেষণায় দেখা গেছে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় খুব ভাল ফল করেন তারা অন্যদের থেকে বেশি ঘুমান। আর যারা অপেক্ষাকৃত কম ঘুমান তাদের ফলাফলও খারাপ হয়।
ঘুম কম হলে শিশুরা অমনোযোগী হয়ে পড়ে। ৭-৮ বছরের শিশুদের ৮ ঘন্টা ঘুম আবশ্যিক। তা না হলেই শিশুরা অমনোযোগী হয়ে পড়বে।
সদ্যোজাত শিশুদের ঘুম অনেকসময়ই পাতলা হয়। তাই তারা যখন ঘুমোবে তখন বাইরের কোনও আওয়াজ যেন তাদের কানে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
যারা রাতে ৬ ঘন্টার কম ঘুমান তাদের হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, অকাল বার্ধক্যের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
স্ট্রেস কমাতে ভীষণ সাহায্য করে ঘুম। এর পাশাপাশি যারা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও ঘুম খুবই দরকার।
তবে শুধু চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল মুছতে বা মন ভাল রাখতে নয়, হৃৎপিন্ড ভাল রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ঘুম ভীষণ কার্যকরী।
ভারতে প্রায় ১৩.৭ শতাংশ মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন। এর থেকেই স্ট্রোক, ডায়াবেটিস হয়। শিশুদেরও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।