শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস। তবে ঘুম যতটা সুখের ততটাই অসুখ-ও বটে। অনেকে দিনভর ঘুমের মধ্যেই কাটি দিতে ভালো বাসেন, কারুর আবার পলক পড়ে চোখের। ঘুম আসতে চায় না। আসলেও তার পরিমান নেহাতই স্বল্প। অনেকেই হয়তো জানেন না ঘুমের সঙ্গে খাবারের এক বিস্তর সংযোগ রয়েছে। আপনার খাদ্য তালিকাতে যদি এই পদগুলো থেকে থাকে তবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে বাধ্য। জেনে নিন সেই তালিকাতে পডড়ে কী কী খাবর-
সঠিক সময় আরাম করে ঘুমিয়েও স্বস্তি নেই। রাতে চোখে ঘুমের অভাব। সমস্যার মূল কী, অনেকেই হয়তো জানেন না, আপনার খাদ্য তালিকাতেই রয়েছে গলতি।
চা-কফিঃ সারাদিনে বেশি পরিমানে চা-কফি পান করা যাঁদের অভ্যেস তাঁদের রাতে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত রাতে ক্যাফেইন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ইনসমনিয়াও দেখা দিতে পারে।
জলঃ রাতের দিকে বেশি পরিমানে জল পান করলে বারে বারে বাথরুম যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকদিন পর তা রুটিং-এ পরিণত হয়। তাই রাতে জল কম পরিমানে পান করা উচিত।
মদ্যপানঃ অনেকেই মনে করেন মদ্যপান করলে রাতে বেশিক্ষণ ঘুমোনো যায়। এমন কী ঘুম পরের দিন সকাল পর্যন্ত থাকে। তবে এই ধারনা ভুল। কারণ এ থেকে সাময়িক স্বস্তি দেখা দিলেও কয়েকদিন পর ঘুমের পরিমান কমতে থাকে।
ফাস্ট ফুডঃ জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুড না খাওয়াই ভালো। এতে শরীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের খাবার হজমে বেশ কিছুটা সময় নেয়। যার ফলে ঘুম আসতে বেশ কিছুটা সময় নেয়।
ফলঃ রাতে ঠিক শোয়ার আগে কোনও রকমের ফল খাওয়া উচিৎ নয়। ফলে শর্করা উপাদান বেশি মাত্রায় থাকে। তাই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।
ভারী খাবারঃ রাতের খাবার খুব বেশি ভারী করলেও শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। যার ফলে রাতে একটু তারাতারি খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এবং তা হালকা হওয়া উচিৎ।
ঝাল-টক-মশলাঃ রাতে টক-ঝাল জাতীয় খাবার খেলে শরীরে হজমের সমস্যা হতে পারে। তা থেকে বারে বারে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও দেখা যায়।
ভিটামিন বি ১২ ঘাটতিঃ শরীরে যদি ভিটামিন বি ১২-এর পরিমান কমে যায় তবে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য খাওয়া উচিৎ সামুদ্রিক মাছ, ছোট মাছ, দুধ প্রভৃতি।
ভিটামিন ডি-র ঘাটতিঃ শরীরে যদি পর্যপ্ত পরিমান ভিটামিন ডি না থাকে তবে সমস্যা হতে পারে ঘুমের।