শেষ কটা বছর ধরে স্ট্রেট চুলের স্টাইল রয়েছে ফ্যাশন দুনিয়ার শীর্ষে। ছোট কিংবা বড় সব মাপের চুলেই স্ট্রেট করিয়ে থাকছেন অনেকেই। কেউ পার্মানেন্ট স্ট্রেটে ভরসা করছেন তো কেউ করাচ্ছেন টেম্পুরারি স্ট্রেট। কেউ আবার করিয়ে থাকে কার্ল। এই স্টাইলিং করতে গিয়ে চুলের ক্ষতি হচ্ছে না এমন নয়। এই স্টাইলিং-এর জন্য চুলে হিট দেওয়া হয়। এর ফলে অনেকেরই চুল রুক্ষ্ম হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকের দেখা দিচ্ছে সাদা চুল। এবার চুলের যত্ন নিতে রইল বিশেষ টোটকা। পার্লার না গিয়ে হিট ছাড়াই চুলের স্টাইল করান। জেনে নিন কীভাবে।
চুল স্ট্রেট করার সময় স্ট্রেটনার ব্যবহার করার আগে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের পণ্যের জন্য চুল মসৃণ হয়ে যায়। তাছাড়াও বাজার চলতি বহু প্রোডাক্ট পাওয়া যায় যা চুল স্ট্রেট করতে সাহায্য করে। এবার থেকে এমন প্রোডাক্ট বেছে নিন। এই সকল প্রোডাক্টে কেরাটিনের মতো উপাদান থাকে। যার গুণে চুল মসৃণ হয়।
210
ব্যবহার করতে পারেন জাম্বো রোলার। প্লাস্টিকের তৈরি এই সকল রোলারের সাহায্যে চুল আটকে রাখুন। তারপর নির্দিষ্ট সময় পর তা খুলে দিন। আজকাল কার্ল কিংবা ওয়েভ করতে পছন্দ করে থাকেন অনেকে। চাইলে এই ধরনের প্রোডাক্ট দিয়ে স্টাইলিং করতে পারেন। এতে হিট প্রয়োগ করা হয় না। ফলে চুলের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
310
সিলিকন যুক্ত প্রোডাক্ট কিনুন। বাজারে একাধিক সেরাম পাওয়া যায়। যার গুণে চুল স্মুদ হয়। ব্যবহার করুন এই ধরনের উপকরণ। এতে চুল মসৃণ ও সিল্কি হয়। এই ধরনের প্রোডাক্টে এমন কিছু উপকরণ থাকে যা চুলের ক্ষতি না করে স্টাইলিং করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত সেরাম লাগাতে পারেন। এতে চুলে স্ট্রেট এফেক্ট আসবে।
410
হোয়ার Wrapping কিনতে পারেন চুল স্টাইলিং করতে। বর্তমানে এগুলো ব্যবহারের চল বেড়েছে বিস্তর। এগুলো ব্যবহার করতে চুলে কোনও রকম হিট প্রয়োগ করতে হয় না। ফলে চুলের ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই স্টাইলিং করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন হোয়ার Wrapping। বড় চুল কিংবা বাঁধ পর্যন্ত তুলে এগুলো বেশ মানাবে।
510
চুল শুকনো করতে অধিকাংশই ড্রায়ার ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু, খেয়াল করে দেখেছেন, ড্রায়ারে একটি করে কুলিং বটন থাকে। এই বটন প্রেস করলে ঠান্ডা হাওয়া বের হয়। এতে চুল শুকনোও হল আবার গরম হাওয়ায় ক্ষতিও হল না। আধুনিক সব কয়টি ড্রায়ারে এই সুবিধা পেতে পারেন।
610
আজকাল ওয়েভি ও কার্ল চুলের স্টাইল বেশ দেখা যাচ্ছে। এই স্টাইল করতে কোনও গ্যাজেট ব্যবহার না করলেও হবে। চুল শ্যাম্পু করে ভালো করে শুকিয়ে নিন। স্যাঁতসেতে ভাবও যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এবার চুল দুটো ভাগ করে দু দিকে বিনুনি করে নিন। টাইট করে বিনুনি করাই ভালো।
710
তারপর সেই বিনুনি ৩ ইঞ্চি অন্তর মুড়ে বেঁধে নিন। এভাবে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে চুল খুললেই তফাত দেখতে পাবেন। তারপর চুল ভেজাবেন না। এতে স্টাইল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই স্টাইল করার আগে শ্যাম্পু না করলেও হবে। তবে নিশ্চিত করতে হবে চুলে যেন তেল না থাকে।
810
অনেকেই স্মুদনিং করতে চান। কিন্তু, চুলের ক্ষতি হয়ে যাবে এই ভেবে এগিয়ে যেতে পারেন না। আজ টিপস তাদের জন্য। নিয়মিত হট অয়েল মাসাজ করুন। এক্ষেত্রে নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। কিংবা ব্যবহার করতে পারেন চুলে জন্য উপযুক্ত যে কোনও তেল। নিয়মিত অয়েল মাসাজে চুল স্মুদনিং-এর মতো এফেক্ট আসবে।
910
ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার মাস্ক। ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে মাস্ক বানাতে পারেন কিংবা বাজার চলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন, তাদের চুল স্মুদ ও সিল্কি হয়ে থাকে। তাই চুলের ধরন বুঝে প্রোডাক্ট কিনে নিন। এতে চুল সুন্দর হবে।
1010
কেউ পার্মানেন্ট স্ট্রেটে ভরসা করছেন তো কেউ করাচ্ছেন টেম্পুরারি স্ট্রেট। কেউ আবার করিয়ে থাকে কার্ল। এই স্টাইলিং করতে গিয়ে চুলের ক্ষতি হচ্ছে একাধিক। চুলে স্টাইল করতে এবার আর হিট দেবেন না। মেনে চলুন এই সকল উপায়। এতে সহজে চুলের স্টাইল বদলে যাবে।