Published : Nov 03, 2021, 07:17 PM ISTUpdated : Nov 03, 2021, 07:22 PM IST
চলছে আলোর উৎসব। ধনতেরাস (Dhanteras), ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdasi), কালীপুজো (Kali puja), দীপাবলি (Diwali), ভাইফোঁটা (Bhai Dooj)- সপ্তাহ ব্যাপী একের পর এক অনুষ্ঠান। প্রতিটি শহর যখন দীপাবলি (Diwali) পালনে ব্যস্ত তখন এক অন্য ধরনের উৎসব পালন হল নেপালে। পালিত হয় কুকুর তিহার (Kukur Tuhar)। কুকুর উৎসবটি (Festival) নেপালে (Nepal) ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। নেপালে পাঁচ দিনের হিন্দু উৎসবের তিহারের দ্বিতীয় দিন হল কুকুর তিহার। নেপালি হিন্দুরা ভগবান ভৈরবের সাথে পশুর সংযোগ উদযাপন করতে কুকুরের পুজো করেন। এই দিনে পুজোরীরা কুকুরকে মালা ও তিলক দিয়ে সাজায়। তাদের মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি-সহ তাদের প্রিয় খাবার খাওয়ানো হয়।
কুকুর উৎসবটি (Kukur Tihar) নেপালে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এটি সারা বিশ্বে নেপালি প্রবাসীরাও উদযাপন করেন এই উৎসব। এই তিহারে ক্যানাইন অফিসার এবং স্ট্রিট ডগদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। আজ নেপালে পালিত হল কুকুর তিহার।
210
কুকুর তিহার উৎসবের সঙ্গে দুটি পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে কুকুরটি ভগবান ভৈরবের বাহন। ভগবাব ভৈরককে খুশি করতে এই বিশেষ তিথিতে কুকুরের পুজো করা হয়। এদিন মালা পরিয়ে, তিলক কেটে কুকুরের পুজো করা হয়।
310
প্রচলিত আছে, মৃত্যুর দেবতা ভগবান যমের শ্যামা এবং শরভরা নামে দুটি কুকুর (Dogs) রয়েছে। এই দুজন নরকের দরজা পাহারা দেয়। কুকুর তিহারের সময় কুকুরের পুজো করে তাদের তুষ্ট করার রীতি প্রচলিত।
410
নেপালের লোকজন বিশ্বাস করেন কুকুর তিহারে কুকুরের পুজো করলে তারা তাদের নরকের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবেন। এর মধ্যে দিয়ে মৃত্যু ইতিবাচক দিক খোঁজার চেষ্টা করেন সকলে। নেপালের (nepal) সমস্ত মানুষ এই উৎসবে মেতে ওঠেন।
510
মহাভারতেও কুকুর ও মানুষের সম্পর্কের উল্লেখ আছে। মহাভারতের (Mahabharat) কাহিনি অনুসারে, স্বর্গযাত্রায় পাণ্ডবদের সঙ্গে একটি কুকুরও গিয়েছিল। দ্রৌপদী-সহ সমস্ত পাণ্ডব যাত্রা সম্পূর্ণ করতে পারেনি। শুধুমাত্র যুধিষ্ঠির এবং কুকুরটি স্বর্গের দরজায় পৌঁছেছিল।
610
স্বর্গের দরজায় পৌঁছানোর পর ইন্দ্রদেব যুধিষ্ঠিরকে গ্রহণ করতে এলে যুধিষ্ঠির কুকুরটিকে তার সাথে স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চান। এ কথা শুনে, সে মুহূর্তে ইন্দ্রদেব (Indra dev) যুধিষ্ঠিরের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
710
ইন্দ্রদেবের প্রত্যাখ্যানের (Refuse) পর যুধিষ্ঠির বলেন, তিনি তার জীবনের শেষ পর্যন্ত কুকুরকে পরিত্যাগ করতে পারেন না। তাঁর ধার্মিকতা, অনুভূতি, নিঃস্বার্থতা দেখে যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে কুকুরটিকেও স্বর্গে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
810
প্রচলিত আছে যে, যুধিষ্ঠিরের সাথে স্বর্গে কুকুরের রূপে ভগবান যম ছিলেন। এর থেকে কুকুরকে পুজো করার রীতি (Rituals) শুরু হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। প্রতিবছর এই সময় নেপালে পালিত হয় এই উৎসব (Festival)।
910
কুকুর তিহারের (Kukur Tihar) সময়, কাকেরও পুজো করা হয়। কারণ তারা ভগবান যমের (Yamraj) দূত হিসাবে বিবেচিত হয়। এই সময় সমস্ত নেপালবাসী মেতে ওঠেন এই উৎসবে।
1010
তিহার (Tihar) উৎসবের প্রথম দিনে তাদের পূজা করা হয়, যা কাগ তিহার নামেও পরিচিত। উৎসবের সময় কাকদের মাংস এবং শস্য-সহ খাবার দেওয়া হয়।