সব ক্ষেত্রে 8 ঘন্টা ঘুম পর্যাপ্ত নয়, এই পরিস্থিতিতে আরও সময় বেশি সময় ঘুমানো দরকার

একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, তবেই আমাদের শরীর শিথিল হবে এবং তারপরে আমরা ক্লান্ত না হয়ে দিনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে সক্ষম হব।

Web Desk - ANB | Published : Aug 20, 2022 9:20 AM IST

ভালো ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আমাদের বিশ্রামের ঘুম দরকার। সাধারণত, বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন যে একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, তবেই আমাদের শরীর শিথিল হবে এবং তারপরে আমরা ক্লান্ত না হয়ে দিনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে সক্ষম হব। যদিও এই মান নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রতিটি ব্যক্তির শরীর ভিন্নভাবে ঘুমের প্রয়োজন। এই কারণেই কিছু লোকের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ঘুমানো দরকার, অন্যথায় তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

কিছু লোকের জন্য, ৪ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট নয়,
অনেকেই মনে করেন ৪ ঘন্টা ঘুম হয়ে গিয়েছে এখন আর ঘুমের দরকার নেই। তবে এই ৪ ঘন্টা ঘুমের পরেও অনেকেরই অলসতা এবং দুর্বলতা শরীরে থেকে যায়। তাই অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, দুটি পরিস্থিতিতে, আপনার আরও বেশি ঘুমানো দরকার, যা ৮ ঘন্টা থেকে ৯ বা এমনকি ১০ ঘন্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এই পরিস্থিতিতে আপনার আরও ঘুমানো উচিত-
১) ঋতু পরিবর্তন-
অনেক সময় যখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, তখন আপনার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন। যখন ঋতু পরিবর্তন হয়, এটা সম্ভব যে আপনি রাতে বিশ্রামের ঘুম নাও পেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ঘুম সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে আরও ঘুমাতে হতে পারে।
২)  পিরিয়ড এর সময়-
মাসিক চক্রের সময় মহিলাদের শরীরকে অনেক অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় যা প্রতি মাসে ঘটে। এই সময়, তিনি খুব দুর্বল এবং ক্লান্ত বোধ করেন, তাই তার মাসিক চক্রের সময় প্রায় ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, তবেই তিনি সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন।

আরও পড়ুন- চুপ করে থাকলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, জেনে নিন কিভাবে

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং স্বাদে চমৎকার, বেথো শাকের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন

আরও পড়ুন- পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হাঁটুর সমস্যা কেন বেশি, জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার

৩) রাতের সিফটে কাজ করলে-
বর্তমান কাজের বাজারে অফিসে নির্ধারিত কোনও সময় নেই। বেশ কিছু সংস্থা নিজেদের ইচ্ছে মত কর্মচারীর উপর কাজের চাপ ও সময় বাড়িয়ে চলেছে। আর জীবন যাত্রার তাগিদে কর্মীরাও সেই সব মুখ বুজে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে কাজ করে চলেছে। এমন অমানসিক পরিস্থিতিতে রাতেক সিফটে কাজ থাকলে সকালে কমপক্ষে ৮-১০ ঘুমের প্রয়োজন।

Share this article
click me!