অজানা এই কারণগুলি থেকেই বৃদ্ধি পায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

  • কোষ্ঠকাঠিন্য আপাতদৃষ্টিতে কোনও জটিল রোগ নয়
  • তবে এর প্রতিকার না হলে সৃষ্টি হয় জটিল সমস্যার
  • দীর্ঘ স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় হতে পারে ক্য়ান্সারও
  • প্রকৃতিক উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করুন সহজেই

deblina dey | Published : Feb 10, 2020 11:25 AM IST

নানান গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশী। একই সঙ্গে চর্বি জাতীয় ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে তা কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্যের উৎস হল আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া, জল কম খাওয়া, দুশ্চিন্তা, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অন্ত্রনালিতে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। ঋতু পরিবর্তনের ফলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। 

আরও পড়ুন- গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অভিযোগ, এইআইআর পেটিএম কর্তার বিরুদ্ধে

কোষ্ঠকাঠিন্য আপাতদৃষ্টিতে জটিল রোগ না হলেও এর প্রতিকার না হলে এটি জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের সচরাচর যে দুটি সমস্যা হয় তা হলো পাইলস ও এনালফিশার। কোন কোন ক্ষেত্রে দিনের পর দিন অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের কারণে মলাধার দেহের বাইরে চলে আসতে পারে যাকে বলা হয় রেকটাল প্রোল্যাপস। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া উচিত। প্রথমিক পর্যায়ে অ্যালোপ্যাথি ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিক উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করা সম্ভব। 

আরও পড়ুন- এয়ারটেল গ্রাহকদের বাড়তে পারে চাপ, আবারও পরিষেবার মূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিল সংস্থা

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার মূলে কয়েকটি প্রধান কারণের উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। যেমন, দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খাওয়া, অত্যাধিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন, পনির, ছানা ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া, ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে, অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার, কোনও অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে থাকা, ফাইবার বা আঁশ জাতিয় খাবার, শাকসবজি বা ফলমূল কম খাওয়া, হাঁটা-চলা, শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম না করা সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও কখনও সখনও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হারিয়ে যাওয়া বোন, ৭৮ বছর পর আবার দেখা

এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া দাওয়াই প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপেল বা একটি আঁশযুক্ত ফল খান। ডায়েটে আঁশযুক্ত খাবার রাখুন। প্রচুর সবুজ শাক-সবজি ও ফল খান। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন মটরশুঁটি, বিনস, বাদাম, আলু। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে উষ্ণ জলে একটি গোটা পাতিলেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। যাদের অতিরিক্ত মাত্রায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের এই প্রোবায়োটিক ফুড অবশ্যই রাখতে হবে ডায়েটে। এর সঙ্গে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাও প্রয়োজন।

Share this article
click me!