গর্ভাবস্থায় বিশেষ নজর দিতে হয় খাদ্যগ্রহণে। এই সময় এমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে। তেমনই সব খাবার এই সময় নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন এই কয়টি বিশেষ পানীয়। এই পানীয় থেকে বাড়ত পারে শারীরিক জটিলতা।
গর্ভধারণের পর থেকে সময়টা প্রতিটি মেয়ের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় প্রতিটি পদক্ষেপে থাকতে হয় সতর্ক। এই সময় বিশেষ নজর দিতে হয় খাদ্যগ্রহণে। এই সময় এমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে। তেমনই সব খাবার এই সময় নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন এই কয়টি বিশেষ পানীয়। এই পানীয় থেকে বাড়ত পারে শারীরিক জটিলতা।
এই সময় ভুলেও খাবেন না ডায়েট সোডা। এই খরনের সোডা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে থাকে স্যাকারিন। এটি শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে ও গর্ভস্থ বাচ্চাকে রক্ষা করতে এড়িয়ে চলুন ডায়েট সোডা।
কফি অনেকেরই পছন্দের পানীয়। সকল ক্লান্তি থেকে মুক্তি মেলে কফির গুণে। গুণে গর্ভাবস্থায় কফি সেবন স্বাস্থ্যকর নয়। দিনে ২ বারের বেশি কফি খাবেন না। এতে আছে ক্যাফিন। যা গর্ভস্থ বাচ্চার শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে ও গর্ভস্থ বাচ্চাকে রক্ষা করতে এড়িয়ে চলুন কফি।
সফট ড্রিংক্স না খাওয়াই ভালো এই সময়। সফট ড্রিংক্সে কুইনাইন নামক এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা বাচ্চার স্বাস্থ্যহানীর কারণ হে পারে। ক্যাফিন ও কুইনাইনের মিশ্রণ গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই ভুলেও খাবেন না সফট ড্রিংক্স।
তেমনই গর্ভবতী মহিলাদের বিপদের কারণ হতে পারে মদ্যপান। এর কারণে বাচ্চার শারীরিক বিকৃতি ও মস্তিষ্কের বিকাশ বাধা পায়। গর্ভধারণে পরিকল্পনা চলাকালীন সময় থেকে বন্ধ করুন মদ্যপান। এতে বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
তেমনই মাত্রাতিরিক্ত গ্রিন টি বাচ্চার ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি ভ্রূণের নানান সমস্যা বৃদ্ধি করে। এই সময় গ্রিন টি খেতে হলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তা না হলে এই পানীয় না খাওয়াই ভালো।
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে সন্তান। এই সময়টা সব মেয়ের কাছে যতটা আনন্দের ততটা কঠিন। নানান শারীরিক জটিলতা সহ্য করে জন্ম দিতে হয় সন্তানকে। দীর্ঘ এই ৯ মাস নিজের সকল পছন্দ অপছন্দ ভালোলাগা ত্যাগ করে শুধু বাচ্চার কথা ভেবে কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয়। গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া, পুরো সময়টা প্রতি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হয় মেয়েদের। তাই এই সময় খাদ্যগ্রহণ দিন বিশেষ নজর। এতে সুস্থ থাকবে বাচ্চা ও মা দুজনেই।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীবারে অব্যাহত সোনা ও রূপোর দাম, কেনার আগে দেখে নিন হলমার্কের দর
আরও পড়ুন- রইল কয়টি খাবারের হদিশ, যার কারণে বিপাকীয় ক্রিয়ার হার কমে যায়, বাড়তে থাকে ওজন
আরও পড়ুন- খাদ্যতালিকায় রাখুন এই পাঁচটি প্রোটিনে ভরপুর ফল, বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা