Pregnancy: ৩০-এর পর মা হওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ, গর্ভধারণের সময় মাথায় রাখুন কয়টি জিনিস

বর্তমানে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ে (Marriage) করছে ৩০-এর কোটায়। ফলে গর্ভধারণ (Pregnancy) করতে যথারীতি দেরি হচ্ছে। তবে, ৩০-এর পর মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে খেয়াল রাখুন কয়টি জিনিস।

Sayanita Chakraborty | Published : Nov 23, 2021 10:02 PM IST / Updated: Nov 24 2021, 03:35 AM IST

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য আজ যে কোনও বয়সেই গর্ভধারণ (Pregnancy) করা সম্ভব হচ্ছে। সঠিক ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলে, ৪০-এর পরও বহু মায়েরা সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। বর্তমানে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ে করছে ৩০-এর কোটায়। ফলে গর্ভধারণ করতে যথারীতি দেরি হচ্ছে। তবে, ৩০-এর পর মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে খেয়াল রাখুন কয়টি জিনিস। 

অনেকেই বলেন, ৩০-এর পর বাচ্চা হওয়া মুশকিল। ডাক্তারি মতে, ৩৭-এর আগে বাচ্চা নেওয়া উপযুক্ত সময় মনে করা হয়। তবে, ৩৫ বছর বয়স হয়ে গেলে আর গর্ভধারণ করতে পারবেন না এমন নয়। ৩৫-এর পর ডিমের (Egg) গুণগত মান হ্রাস পায়। এতে জটিলতা বাড়ে ঠিকই কিন্তু, বাচ্চা হবে না এমন নয়। সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। 

গর্ভধারণের (Pregnancy) আগে মা-বাবা দুজনের বয়সের কথা মাথায় রাখুন। আধুনিক জীবনে দৌড়াতে গিয়ে বদলেছে সকলেরই জীবনযাত্রা (Lifestyle)। আজকাল এক্সারসাইজ (Exercise) করার সময় নেই কারওর। সঙ্গে খাদ্যতালিকা পরিবর্তন ঘটেছে। এই সবের জন্য খারাপ প্রভাব পড়ছে শরীরে। বাড়ছে নানা রকম রোগ। তাই গর্ভধারণের আগে দুজনের বয়সের কথা খেয়াল রাখুন। ৩৫-এর পর যেমন মেয়েদের শারীরিক জটিলতা বাড়ে।  তেমনই ছেলেদের শরীরেও নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে, বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করার আগে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিত।     

আরও পড়ুন: Health Tips : শরীরকে উষ্ণ রাখতে প্রতিদিন খান এই ৫ খাবার,কতটা পরিমাণে খাবেন জেনে নিন

৩০-এর কোটায় বিয়ে করেছেন। দেখতে দেখতে ২ বছর পার হয়ে গিয়েছে। এবার বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু, যদি দেখেন ৬ মাস কেটে গিয়েছে, তাহলে ডাক্তার দেখান। ৩০ বছর বয়সের পর নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। আজকাল অধিকাংশই পিসিওডি-তে (PCOD) আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগ গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ৬ মাস চেষ্টার পর যদি গর্ভবতী না হন তাহলে ডাক্তার দেখান।  

আরও পড়ুন: Heath Tips: সদ্যজাত থেকে বৃদ্ধ- ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন শয় শয় মানুষ, জেনে নিন কেন প্রসার ঘটছে এই রোগের

বয়স যদি ৩৫ পার করে, তাহলে আগে ডাক্তার দেখান। গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আপনার শরীরে কোনও রকম রোগ রয়েছে কি না। তাই দুজনে আগে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। শরীরে কোনও রকম সমস্যা (problem) আছে কি না জেনে নিয়ে তবেই গর্ভধারণ করুন। গবেষণায় জানা গিয়েছে, একজন মহিলার নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন যেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ক্ষয় হয়ে যায়। একটা বয়সের পর আর ডিম উৎপাদন হয় না। পুরুষদের ক্ষেত্রেও একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরি হতে পারে। তাই ডাক্তারি পরামর্শ নিন।    

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পুষ্টিকর খাবার খান খাদ্যতালিকায়। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন। চিনি ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। আর ধুমপান (smoking) ও মদ্যপান (alcohol) করবেন না। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে শরীরে নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। যা গর্ভধারণে বাধা দেয়। 
 

Read more Articles on
Share this article
click me!