সংক্ষিপ্ত

অনিমিত ঋতুস্রাবের কারণে সন্তান ধারণে সমস্যায় ভোগেন আজ অনেকেই। এছাড়াও আরও কঠিন রোগ শরীরে দানা বাঁধে। তার মধ্যে অন্যতম হার্টের রোগ।

অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডেসর (Irregular Periods) সমস্যা যে কোনও বয়সের মহিলাদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা আবিবাহিত, তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনিমিত ঋতুস্রাবের কারণে সন্তান ধারণে সমস্যায় ভোগেন আজ অনেকেই। এছাড়াও আরও কঠিন রোগ শরীরে দানা বাঁধে। এখন প্রশ্ন হল কেন ব্যঘাত ঘটে পিরিয়ড সার্কেলে। ডাক্তারি মতে, PCOS, স্ট্রেস এবং খারাপ লাইফস্টাইল এবং অধিক ওজনের কারণে পিরিয়ড সার্কেলে প্রভাব পড়ে। 

PCOS বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হল অন্যতম প্রধান কারণ যা অনিয়মিত মাসিকের দিকে পরিচালিত করে। আজকাল 8 জনের মধ্যে ১ জন মহিলা এই রোগে আক্রান্ত। এটি বর্তমানে মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এর কারণ খারাপ লাইফ স্টাইল, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শারীরিক পরিশ্রম না করা এমনকী অধিক ওজন। সম্প্রতি, প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে হার্টের রোগ দেখা দিচ্ছে অনিয়মিত পিরিয়ডসের জন্য। যারা পিসিওডিতে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে ২৮ শতাংশ হার্টের রোগের ঝোঁক বাড়ে।

 

আরও পড়ুন: তিন বছরে স্তন ক্যান্সারের সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশ, গবেষণায় উঠে এল নেপথ্যের কারণ

গবেষণায় দেখা গেছে, যে যেসব নারীদের PCOS আছে তাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা (heart disease) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। আসলে, PCOS-এ ভুগছেন এমন মহিলারাদের ওজন বৃদ্ধি ঘটে। ওই রোগে আক্রান্ত হলে সহজে ওজন কমে না। এছাড়াও, পিসিওডি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর থেকে ধীরে ধীরে কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ফলে যারা পিসিওডি-তে ভুগছেন তাদের হার্টের রোগের ঝোঁক বাড়ে।   

 

তাই সময় থাকতে সচেতন হন। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে, ফেলে না রেখে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। আর যারা ইতিমধ্যে পিসিওডি-তে আক্রান্ত তারা জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনুন। মেনে চলুন কয়টি জিনিস। 

প্রথমত, এই রোগে আক্রান্ত হলে সবার আগে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনুসরণ করতে হবে ভালো ডায়েট। খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার। এগুলো এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে প্রোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। খাদ্য তালিকায় যোগ করুন সবুজ সবজি। স্বাস্থ্যকর খাবারই যেমন মুক্তি দেবে পিসিওডি থেকে, তেমনই সুস্থ রাখবে হার্ট। 

দিনে অন্তত ৪০ মিনিট এক্সারসাইজ করতে হবে। এতে যেমন আপনার ওজন কমবে, তেমনই আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যও সুস্থ রাখতে হবে। স্ট্রেস থেকে এই রোগ বাড়ে। আর পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ না করলে ঝুঁকি বাড়বে হার্টের রোগে।
 

 

YouTube video player