
খারাপ জীবনযাপন, মাটিতে খালি পায়ে হাঁটা, নষ্ট খাবার খাওয়া, খাওয়ার আগে নোংরা জল দিয়ে হাত ধোয়া এবং দূষিত জল পান করলে পেটে কৃমি হয়। পেটে কৃমি হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এর কারণে হঠাৎ পেটে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, বমি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের কৃমি হয়। চিকিৎসকরা প্রতি ৬ মাস অন্তর শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। পেটে কৃমি বেশি হলে তা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় পেটে ক্ষতও দেখা দেয়। কৃমির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং ওষুধের বদলে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও অবলম্বন করতে হবে।
বাচ্চাদের পেটে কৃমি হলে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি অনুসরণ করুন-
১) সেলারি- বাচ্চার পেটে কৃমি হলে তাকে সেলারি খাওয়ান। এতে ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে যা পোকামাকড় মেরে ফেলে। আধা চা চামচ সেলারি পাউডারে আধা চা চামচ গুড় মেশাতে হবে, এবার একটি ট্যাবলেট বানিয়ে শিশুকে দিনে ৩ বার খাওয়াতে হবে। আপনি চাইলে আধা গ্রাম জোয়ানের সঙ্গে এক চিমটি কালো লবণ মিশিয়ে রাতে কুসুম গরম জলতে পান করুন।
২) নিম পাতা- কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতা ব্যবহার করুন। নিম পাতায়ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। নিম পাতা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। এতে পেটের কৃমি মারা যায়।
৩) রসুন- পেটের কৃমি দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য রসুনের চাটনিতে শিলা লবণ মিশিয়ে দিনে দুবার খান। এতে শিশু-বৃদ্ধ সবার পেটের কৃমি মারা যাবে।
৪) তুলসী- কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে তুলসী ব্যবহার করুন। এর জন্য তুলসী পাতার রস বের করে ১-১ চা চামচ করে দিনে দুবার পান করুন।
৫) ডালিম- পেটের কৃমি দূর করতে ডালিমের খোসা ব্যবহার করুন। ডালিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া তৈরি করুন। এখন এটি ১-১ চামচ দিনে অন্তত দুইবার খান। পেটের কৃমি কয়েকদিনের মধ্যে মারা যাবে।
৬) কালমেঘ পাতা- কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কালমেঘ পাতার রস বা ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে ছোটদের সকালে খালিপেটে খাওয়ান। কয়েক দিনের মধ্যেই এর মারাত্মক উপকার দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন- কাজ করার এক ইচ্ছে নেই সারাদিন ক্লান্ত লাগে, আপনি কি তবে বার্নআউট-এ আক্রান্ত
আরও পড়ুন- রান্নাঘরে থাকা এই উপাদান শুধু ডায়াবেটিস কমাতে নয় ওজন কমাতেও সহায়ক, আজ থেকেই
আরও পড়ুন- ১০০ বছর বাঁচার গোপন রহস্য ফাঁস করলে বিশেষজ্ঞরা, জেনে নিন কি করতে হবে