বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইরফান, কতটা আগ্রাসী এই নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার বা ক্যানসার নেট

  • একজন যোদ্ধার মত এই মারণ রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন তিনি
  • শেষের দিকে ইরফান খানের পেটের সমস্যা অত্যন্ত বৃ্দ্ধি পায়
  • ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল যে ইরফান খানের ক্যানসার নেটে আক্রান্ত
  • এই নিউরেনডোক্রাইন টিউমার বা ক্যানসার নেট আসেল কী

deblina dey | Published : Apr 29, 2020 12:17 PM IST

২০১৮ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ইরফান খানের নিউরোইনডোক্রাইন টিউমার বা ক্যানসার নেট-এ আক্রান্ত। নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমারের চিকিত্সার জন্য ইরফান খান লন্ডনে এক বছর ধরে চিকিত্সা করেছিলেন। একজন যোদ্ধার মত এই মারণ রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন তিনি। বলিউডের ও হলিউডের দাপুটে অভিনেতা ইরফান খান। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতাল কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, শেষের দিকে ইরফান খানের পেটের সমস্যা অত্যন্ত বৃ্দ্ধি পায়। বিখ্যাত অভিনেতা ইরফান খান এর হওয়া এই  নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার বা ক্যানসার নেট-এ আক্রান্ত ব্যক্তির আয়ু কত? নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ক্যান্সার নেট আসলে কি? 

আরও পড়ুন- রীতিমতো গানপয়েন্টে তাক হয়ে যাওয়া যাকে বলে, এভাবেই ইরফানের প্রাণ কাড়ল ক্যানসার নেট

ক্যানসার নেট-এ আক্রান্ত ব্যক্তি কত দিন বেঁচে থাকতে পারেন-

আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি-এর মতে এই রোগ অত্যন্ত বিরল। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত ৫ বছর অবধি হাতে সময় থাকে। এই রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি কত দিন বেঁচে থাকবেন তা নির্ভর করে চিকিত্সা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে তার উপর। উদাহরণস্বরূপ, যদি এই রোগ শেষ পর্যায়েও ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রেও আক্রান্তের অন্ততপক্ষে ৫ বছর অবধি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে।  

এই রোগের প্রধাণ সমস্যা হল যে নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার বা ক্যানসার নেট প্রাথমিক পর্যায়ে একেবারেই সাধারণ কিছু উপসর্গ থাকে। যার ফলে আক্রান্তের পক্ষে বোঝা কোনওভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে না যে তিনি কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত। এই নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমারে আক্রান্তের ফলে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা ফলে অন্যান্য রোগেউপসর্গ প্রকট হয়। 

আরও পড়ুন- নাক-গলা-ফুসফুস হয়ে কীভাবে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস, জানুন ছবিতে ছবিতে

নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমারের লক্ষণ ও উপসর্গ -

নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতিসাধন করতে পারে, তাই নির্দিষ্ট অঙ্গের জড়িত থাকার ভিত্তিতে লক্ষণ ও উপসর্গ আলাদা আলাদা রকমের হয়। 

অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন, 
ডায়ারিয়া ও পেটে ব্যথা
গ্যাস্ট্রিক আলসার
খাবারে অনীহা
শ্বাসকষ্টের সমস্যা 
ক্রমাগত কাশি ও ঘরঘর আওয়াজ
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে খুবই কম পরিমাণ শর্করা) অথবা হাইপারগ্লাইসেমিয়া (রক্তে অত্যাধিক শর্করা)
জন্ডিস
রাতে খুব ঘেমে যাওয়া
জ্বর, মাথাব্যথা ও দুশ্চিন্তা

Share this article
click me!