কোষ্ঠকাঠিন্য যে কোনও বয়সে এবং যে কোনও ব্যক্তির হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ২০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। নানান গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশি হয়। চিকিৎসকদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্যের উৎস হল আঁশ বা ফাইবার যুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া, জল কম খাওয়া, দুশ্চিন্তা, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অন্ত্রনালিতে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। একই সঙ্গে চর্বি জাতীয় ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন- হোয়াইট না ব্রাউন ব্রেড, সকালের জলখাবারের জন্য কোন পাউরুটি সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং উপকারী
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে তা কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের ফলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তবে কেবলমাত্র লবন জল এর প্রয়োগ করে এই সমস্যা আপনি সহজেই দূর করতে পারবেন। জেনে নিন কিভাবে এই অব্যার্থ টোটকা কাজে লাগিয়ে আপনি এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে এক গ্লাস জলে নুন মিশিয়ে পান করুন। এটি পাচনতন্ত্রকে কেবল পরিষ্কারই করবে না, কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ থেকেও মুক্তি দেয়। এটি কেবল অন্ত্রকেই পরিষ্কার করে না, মূল থেকে এই সমস্যা সমাধানেও সহায়ক। লবণ শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স করে এবং সিস্টেমে ভাল ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করতে সহায়তা করে, যার ফলে হজম ব্যবস্থা নিরাময় হয় এবং দেহের বর্জ্য অপসারণ হয়।
আপনি যদি সকালে খালি পেটে লবন জল পান করেন তবে এটি বেশি উপকারী হবে। তবে আপনি যদি এটি দিনে পান করেন, তবে এই জল পানের এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে কিছু খাওয়া যাবে না। এই লবণের জল তৈরি করতে, একটি বড় জার বা বোতলে প্রায় এক লিটার পরিশুদ্ধ গরম জল ব্য়বহার করুন। খেয়াল রাখবেন এক্ষেত্রে ফুটন্ত জল নয় হালকা গরম জল ব্যবহার করতে হবে। এই জলে ২-৩ টেবিল চামচ লবণ যোগ করুন এবং এটি ভালভাবে মেশান। এই পানিয়টি দ্রুত পান করার চেষ্টা করুন। এই অব্যর্থ প্রতিকারটি ৩০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করবে এবং আপনার শরীর থেকে টক্সিন এবং বর্জ্য অপসারণ করতে সাহায্য করবে।