কেন হয় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, রইল এই দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

বয়স ৩০ এর কোটায় পা দেওয়া মাত্রই একের পর এক রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ডায়েবিটস, প্রেসার, কোলেস্টের, ফ্যাটি লিভার আর এর সঙ্গে বাড়ছে কিডনির রোগ। বর্তমানে বহু মানুষ ক্রনিক কিডনির রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ৬৫ -র বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত সংস্যার পারিবারিক প্রবণতা থাকলে এই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। 

Sayanita Chakraborty | Published : May 25, 2022 4:27 AM IST / Updated: May 25 2022, 09:58 AM IST

আধুনিক জীবনযাত্রায় মানিয়ে নিতে গিয়ে বদলেছে আমাদের খাদ্যাভ্যাস। বদলেছে লাইফস্টাইল। এখন অধিকাংশেরই দিন কাটে কমপিউটারের সামনে বসে। সারাদিন কাজের চাপে শরীরচর্চার সময় নেই। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রেস্তোরাঁর খাবার। এই সবের খারাপ প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। সে কারণে বয়স ৩০ এর কোটায় পা দেওয়া মাত্রই একের পর এক রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ডায়েবিটস, প্রেসার, কোলেস্টের, ফ্যাটি লিভার আর এর সঙ্গে বাড়ছে কিডনির রোগ। বর্তমানে বহু মানুষ ক্রনিক কিডনির রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ৬৫ -র বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত সংস্যার পারিবারিক প্রবণতা থাকলে এই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। 

কেন হয় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ- বেশ কয়টি কারণে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ হতে পারে। দীর্ঘ সম ধরে জল কম খাওয়া, স্থূলতা, অবস্ট্রাকটিভ কিডনি ডিজিজ, কিডনিতে পাথর, ব্লাড ক্যান্সার, কিডনির সঙ্গে যুক্ত আর্টারি সরু হয়ে যাওয়া, সিরোসিস এবং যকৃতের বিকল অবস্থা ক্রনিক কিডনি ডিজিজের কারণ হবে পারে।     

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগের লক্ষণ- এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে দেখা দিতে পারে কয়টি লক্ষণ। চোখের চারপাশে ফোলাভাব, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, পায়ে ফোলা ভাব, ক্লান্তি ভাব, সারাক্ষণ বমি বমি ভাব দেখা দিলে সকর্ত হন। বিশেষ করে যদি সকালে খাবার খেলে এমন লাগে তাহলে হতে পারে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ। এমনকী, হঠাৎ করে ওজন হ্রাস পেলে কিংবা অনিদ্রা দেখা দিলে হতে পারে এমন জটিলতা। 

তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ধূমপান ও মদ্যপান একেবারে বন্ধ করে দিন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পর্যাপ্ত জল খান। সঙ্গে দুধ ও সোয়া প্রোডাক্ট একেরারে এড়িয়ে চলুন। মাছ, মাংস ও ডাল জাতীয় প্রোটিন পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন অথবা বর্জন করুন। এর সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ব্যথার ওষুধ খাবেন না। এর সঙ্গে নিয়মিত করে শরীর চর্চা করুন। তাছাড়া, শরীরে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ এমনকী কোনও রকম জটিলতা থাকলে সব সময় ডাক্তারি পরামর্শ নেবেন। শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে এর প্রভাব পড়ে কিডনিতে। এর থেকেও হতে পারে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ।   

আরও পড়ুন- একধাক্কায় আরও বেড়ে গেল সোনার দাম, রূপোর দাম কোথায় ঠেকল, জেনে নিন হলমার্কের বাজারদর

আরও পড়ুন- মাঙ্কি পক্সকে চিকেন পক্সের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন না তো? জেনে নিন কতটা পার্থক্য রয়েছে এই দুইয়ের মধ্যে

আরও পড়ুন- পরিমিত মদ্যপানও হার্টের জন্য ক্ষতিকর, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
 

Share this article
click me!