বাচ্চার কথা মাথায় রেখে সব মায়েদের কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই সময় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন খাদ্যতালিকায়। বাচ্চার বিকাশের জন্য সব ধরনের সবজি কিংবা ফল খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। রইল তিনটি খাবারের হদিশ। এগুলো একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও তা গর্ভবতীদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। দেখে নিন কী কী।
সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রতিটি মেয়ের জীবনের সব থেকে সুন্দর সময়। গর্ভধারণের পর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে সন্তান। দীর্ঘ ৯ মাস নানান শারীরিক জটিলতা, নানান কষ্ট সহ্য করে সন্তানের জন্ম দিতে হয়। এই সময় শারীরিক ও মানসিক উভয় সমস্যা দেয়। এই সময় খাবারের প্রতি যেমন অনিহা হয়, তেমনই সারাক্ষণ বমি ভাব দেখা দেয়। তবে, বাচ্চার কথা মাথায় রেখে সব মায়েদের কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই সময় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন খাদ্যতালিকায়। বাচ্চার বিকাশের জন্য সব ধরনের সবজি কিংবা ফল খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। রইল তিনটি খাবারের হদিশ। এগুলো একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও তা গর্ভবতীদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। দেখে নিন কী কী। কোন কোন খাবার রাখবেন না তলিকাতে।
পেঁপে- পেঁপে একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে খ্যাত। এটি একাধিক শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি দেয় ঠিকই। কিন্তু, গর্ভাবস্থায় ভুলেও খাবেন না পেঁপে। চিকিৎসকরা গর্ভবতী মহিলাদের কাঁচা পেঁপে খেতে বারন করে থাকেন। এতে অকাল প্রসব হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
ডিম- প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম না খাওয়াই ভালো। বাচ্চা থেকে বয়স্করা সকলে সুস্থ থাকতে রোজ ১টি করে ডিম খেয়ে থাকেন। চিকিৎসকরাই সর্বদা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে, গর্ভবতীরা ডিম খাবেন না। এতে পটের সমস্যা, ডায়রিয়া, বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
আনারস- প্রত্যেক গর্ভবতীই মহিলাদেরই খাদ্যাতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তবে, গর্ভবতীরা এই ফল খাবেন না। এতে থাকা নানান উপাদান বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। হতে পারে গর্ভপাত। তাই একেবারে বাদ দিন আনারস।
তেমনই বেশ কিছু মশলা আছে যা ভুলেও গর্ভবস্থায় খাবেন না। এই তালিকায় রয়েছে হিং, রসুনের মতো কিছু উপাদান। অন্য দিকে, গর্ভাবস্থায় টক খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। আবার এই সময় নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দয়ে। বমি ভাব দেখা দেয় প্রায় সকলেরই। এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন তেঁতুলের গুণে। গা বমি লাগলে ১ টুকরো তেঁতুল নুন দিয়ে চুষে খান। এতে সহজে মুক্তি পাবেন সমস্যা থেকে। তেঁতুলের গুণে দূর হবে একাধিক শারীরিক জটিলতা।
আরও পড়ুন- ভোজন রশিকদের জন্য সুখবর, এবার থেকে হোটেল বা রেস্তোরাঁয় খেলে গুণতে হবে না পরিষেবা কর
আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসের পর নতুন বিপদ গলার ডিপথেরিয়া, জানুন কীভাবে প্রতিকার করবেন