সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসকদের মতে ডিপথেরিয়ার মত এটি সংক্রামক। তবে এটি গলা আর টনসিলকে প্রভাবিত করতে পারে। যারফলে ধুসর সাদা ঝিল্লি তৈরি হয় গলাতে। 

অস্ট্রেলিয়া থ্রোট ডিপথেরিয়া আক্রান্ত দুই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের মতে এটি একটি বিরল রোগ। দুই শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দুজনেই করোনাভাইরাসের টিকা নেয়নি। চিকিৎসকরা মনে করছেন টিকাবিহীন শিশুদের কাছে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে থ্রোট ডিপথেরিয়ার মত বিরল রোগটি। দুটি শিশুরই চিকিৎসা চলছে কুইন্সল্যান্ড হাসপাতালে। 

থ্রোট ডিপথেরিয়া কী? 
এটি একটি সংক্রমক রোগ। চিকিৎসকদের মতে ডিপথেরিয়ার মত এটি সংক্রামক। তবে এটি গলা আর টনসিলকে প্রভাবিত করতে পারে। যারফলে ধুসর সাদা ঝিল্লি তৈরি হয় গলাতে। সেই ঝিল্লির কারণে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয় আক্রান্তদের জন্য। 

মূলত চার রকম ডিপথেকিয়া আছে-
ক্ল্যাসিক রেসপিরেসিটি জিপথেরিয়া
ল্যারিঞ্জিয়াল বা থ্রোট ডিপথেরিয়া
ন্যাসাল ডিপথেরিয়া
আর 
ত্বকের ডিপথেরিয়া 

ডিপথেরিয়া নিরাময়যোগ্য হলেই এটি কিন্তু ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক। হৃৎপিণ্ড, কিডনি , স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। মায়ো ক্লিনকের বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুদের জন্য ডিপথেরিয়া মারাত্মক হতে পারে। 

ডিপথেরিয়ার কারণ-
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে ডিপথেরিয়া করিনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনের করণে হয়। যা একটি বিষ তৈরি করে অসুস্থ মানুষের শরীরে। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

শ্বাসযন্ত্রের ডিপথেরিয়া জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। যার কারণে হার্টের পেশীর ক্ষতি, স্নায়ুর ক্ষতি, হতে পারে। তাছাড়া নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা হারানো হবে। কিডনি ফেল করতে পারে। ডিপথেরিয়া সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাসের ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেমন হাঁচি-কাশি হতে থাকে। এটি দূষিত পরিবেষের কারণেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

ডিপথেরিয়ার উপসর্গ
গলায় ব্যাথা, গলা ফুলে যাওয়া, শ্বাসপ্রস্বাস নিতে অসুবিধে হওয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সর্দি-জ্বর হওয়া। আর সর্বদা ক্লান্ত ভাব থাকা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। যারমধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত অংশগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ডিপথেরিয়ার ব্যাকটেরিয়া একটি বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে যা সুস্থ টিস্যুগুলিকেসেষ করে দেয় তিন থেকে চার দিনের মধ্যে। সেইকারণে গলা বা নাক ধুসর হয়ে যায়। সংক্রমিতদের ৫-১০ শতাংশেরই অবস্থা মারাত্মক হতে পারে। 

রোগ নির্ণয়-
নাক বা গলার সোয়াব টেস্ট করলেই জানা যায় ডিপথেরিয়ার ব্যাকটেরিয়া রয়েছে কিনা। চিকিৎসকরা জানিয়েছে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে। তাই প্রথম অবস্থাতে চিকিৎসা শুরু হলে সমস্যা থাকে না। অ্যান্টিবায়টিকেই এই রোগ সেরে যায়। 

ডিপথেরিয়া প্রতিরোধের উপায় হল টিকা। ভারতে ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম-এর অধীনে ভ্যাকসিনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও একাধিক ওষুধ রয়েছে এই রোগের।