বর্তমানে আর পাঁচটা সাধারণ সমস্যার মত ফ্যাটি লিভার একটি। তবে এই শারীরিক সমস্যাকে সাধারণ ভাবাটাই ভুল। এই সমস্যা মোটেও সাধারণ সমস্যা নয়। ফ্যাটি লিভারের মত সমস্যায় সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে লিভার সিরোসিসের মত মারাত্মক সমস্যাও। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, অনিয়মিত লাইফস্টাইলের কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। তাই লিভারের প্রাথমিক সমস্যা দেখা দিলে উপযুক্ত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। তার আগেও জেনে নেওয়া প্রয়োজন আপনি ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত কী না।
আরও পড়ুন- স্মার্টফোনের নেশায় বুঁদ, মুক্তির উপায় দেখাচ্ছে গুগল
প্রথম দিকে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে তা প্রকাশ পায় না। যখন এই সমস্যাটি ক্রমশ জটিল পর্যায়ে এই সমস্যা ধরা পড়ে। এই সময় লিভার অনজাইমের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনকী এই এই সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে জন্ডিস অবধি হতে পারে। তাই জেনে নেওয়া যাক এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ, অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা, সারাদিন ক্লান্ত লাগার সমস্যা থাকে তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ হতে পারে। ক্রমাগত বাড়তে থাকা পেটের মেদ বা ভুঁড়ির সমস্যা বাড়তে থাকে তবে লিভারের পরীক্ষা করিয়ে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। মূলত খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের ফলে লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’বলা হয়। এই সমস্যা আবার বংশানুক্রমিকও হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার সহজ প্রাকৃতিক উপায়
আরও পড়ুন- খুব খিদের সময় এই খাবার ভুলেও নয়, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ফ্যাটি লিভার ডিজিজ-এর ক্ষেত্রে সেরা প্রতিকার। এই ভিনিগার লিভারের পাশে জমে থাকা চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম জলেতে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য মধু দিতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এই মিশ্রণ এক গ্লাস খেয়ে নিন। কয়েক মাসে এই নিয়ম মেনে চললেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও একটি ঘরোয়া পদ্ধিত কাজে লাগাতে পারেন। সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস লেবু আর মধু উষ্ণ জলে মিশিয়ে খেয়ে নিন। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান লিভারে এক ধরনের এনজাইম তৈরি করে যা লিভারের চর্বি গলাতে সাহায্য করে। সেই এনজাইম-কে ত্বরান্বিত করে। এই পানীয় কয়েক মাস মেনে চললেই লেবু আর মধুর মিশ্রণ খেয়ে ফেখুন। তবে অবশ্যই লিভারের অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।