মাতাদিন জানিয়েছেন তিনি প্রতি দিনে ২০০ মিলিগ্রাম মূত্র পান করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রতিদিন তাঁর পানের গ্লাসে তাজা মূত্রের সঙ্গে একমাসের পুরনো মূত্রও থাকে।
অনেকেই চিন্তা করেন কী করে যৌবন ধরে রাখবেন? কী করে আরও বেশি দিন নিজেকে সতেজ রাখা যায়? তারই সহজ উত্তর বলে দিলেন ইংল্যান্ডের এক যুবক। হ্যাম্পাশায়ারের বাসিন্দা হ্যারি মাতাদিন বলেছেন নিজের প্রস্রাব খেলে তবেই ধরে রাখা যায় যৌবন। তিনি আরও বলেছেন প্রতিদিন নিয়ম করে যদি নিজের প্রস্রাব পান করা যায় তাহলে অবশ্যই বর্তমান যা বয়স তার তুলনায় ১০ বছর বেশি ছোট দেখায়। পাশাপাশি মূত্র নাকি দূর্দান্ত ময়েশ্চারাইজেরও কাজ করে বলে দাবি তাঁর।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে হ্যারির 'ইউরিন থেরাপি'র কথা। হ্যারি বলেছেন এই থেরাপি তাঁকে দিয়েছে শান্তি প্রশান্ত আর সংকল্প। তিনি এখন গোটা বিশ্বেই তাঁর ইউরিন থেরাপির সাফল্যের কথা প্রচার করতে রাজি রয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হ্যারি মাতাদিন ড্যাম বলেছেন এই থেরাপিরে মাধ্যেমে তিনি কল্পানাতীত উপকার পেয়েছে। এটি খুবই শক্তিশালী একটি পদ্ধতি। তিনি বলেন যে মুহূর্তে তিনি প্রস্রাব পান করছেন সেই সময় থেকেই তাঁর মস্তিষ্কে বিষন্নতা জাগিয়ে তুলছে। তিনি নাকি প্রস্রাব পান করার পরই শান্তি অনুভব করেন। আর মাথা ঠান্ডা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন এই থেরাপি নিজেকে সুস্থ রাখার একটি উপায়।
মাতাদিন জানিয়েছেন তিনি প্রতি দিনে ২০০ মিলিগ্রাম মূত্র পান করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রতিদিন তাঁর পানের গ্লাসে তাজা মূত্রের সঙ্গে একমাসের পুরনো মূত্রও থাকে। তিনি বলেছেন তাজা প্রস্রাবে কোনও গন্ধ নেই। এটি সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন। তবে স্বাদ আর গন্ধ নিয়ে আসে পুরনো মূত্র। সেইজন্য তিনি নতুন মূত্রের সঙ্গে পুরনো মূত্র মিশিয়ে পান করেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাতাদিন আরও বলেছেন তিনি প্রস্রাব যে শুধুই পান করেন এমনটা নয়। সেটিকে তিনি ময়েশ্চারাইজার হিসেবেই ব্যবহার করেন। গোটা মুখে তিনি নিজের মূত্র মালিশ করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি যখনই নিজের মুখে মূত্র লাগান তখনই তিনি পার্থক্যটা বুঝতে পারেন। তাঁর ত্বক আগের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে যায়। অনেক বেশি নরম আর মসৃণ হয়ে যায়। ত্বক সুস্থ রাখার সেরা জিনিস প্রস্রাব বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তবে এই প্রস্রাব থেরাপি শুরুর দিনগুলি তাঁর কাছে বড়ই কঠিন ছিল বলেও জানিয়েছেন মাতাদিন। কারণ শুরুর দিকে তাঁকে ঘৃণা করত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না বন্ধুরা। তাঁকে প্রায় সকলেই ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর একমাত্র বোনও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। যাইহোক এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। তবে এখনও অনেকেই তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। কিন্তু তিনি এই প্রস্রাব থেরাপি চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
'স্যার বিয়ে আটকে রয়েছে- দয়া করে পাশ করিয়ে দিন', বোর্ড পরীক্ষার খাতায় এমনই অবাক করা পাশের আর্জি
'কঠিন সময়ে' ইউরোপ সফর, তিন দেশে রওনা দেওয়ার আগে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
রেখার প্রেমে পাগল ছিলেন অমিতাভ, এক ইরানি ডান্সারের জন্য তাঁকে ঠাসিয়ে চড় মেরেছিলেন বিগ-বি